নিজস্ব প্রতিবেদক : পুরুষরা তাদের চুল কানের নিচ পর্যন্ত বা কাঁধ পর্যন্ত লম্বা করতে পারে। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লম্বা চুল রাখতেন। নবিজির (সা.) চুল কখনও কান পর্যন্ত কখনও কাঁধ পর্যন্ত লম্বা হতো।
রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) চুল ছিল মধ্যম ধরনের, একেবারে সোজাও নয় আবার বেশি কোঁকড়ানোও নয়। তা ছিল দুই কান ও দুই কাঁধের মাঝ পর্যন্ত। (সহিহ বুখারি: ৫৯০৫, সহিহ মুসলিম: ২৩৩৮)
আনাস (রা.) বলেন, নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) চুল অনেক সময় কাঁধ পর্যন্তও লম্বা হত। (সহিহ বুখারি ৫৯০৪, সহিহ মুসলিম: ২৩৩৮)
তাই কান ও কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুল রাখা অবশ্যই জায়েজ।
চুল এরচেয়ে বেশি লম্বা করলে তা যদি নারীদের মতো হয়ে যায়, তাহলে তা নিষিদ্ধ হবে। যেহেতু পুরুষের জন্য নারীর সাদৃশ্য অবলম্বন করা নিষিদ্ধ।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নারীদের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী পুরুষদের ওপর এবং পুরুষদের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী নারীদের ওপর অভিশাপ দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি: ৫৮৮৫)
তাই কোনো পুরুষের জন্য নারীদের মতো চুল রাখা বা নারীদের বেশভূষা অবলম্বন করা সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও গুনাহের কাজ।
উল্লেখ্য, পুরুষদের জন্য মাথার চুল সম্পূর্ণ মুণ্ডন করা এবং সব দিক সমান রেখে ছাটা জায়েজ। চুল ছাটার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের অনুসরণ করা এবং মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে অদ্ভুত কোনো রূপ গ্রহণ করা যাবে না।
বয়সের কারণে চুল-দাড়ি পেকে গেলে কালো রঙ ব্যবহার করে বয়স গোপন করা নাজায়েজ। হাদিসে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, মক্কা বিজয়ের দিন আবু বকরের (রা.) বাবা আবু কুহাফাকে নিয়ে আসা হলে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছিলেন, তার চুল কোনো রঙ ব্যবহার করে পরিবর্তন করে দাও, তবে কালো রঙ ব্যবহার করো না। (সহিহ মুসলিম: ২১০২)
তবে কারো যদি অসুস্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে বয়স হওয়ার আগেই চুল পেকে যায় তাহলে তার জন্য কালো রঙ ব্যবহার করা জায়েজ।
ইসলামে সাজসজ্জার অংশ হিসেবে চুলে অন্যান্য রঙ করা নিষিদ্ধ নয় যদি তা কাফেরদের অনুসরণের জন্য করা না হয়।