নিজস্ব প্রতিবেদক : জাপান সরকারের আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য আমরা অনুপ্রাণিত এবং নারী ও কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য আমরা জাপান সরকার ও দেশটির জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিগত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সংকট, রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় বাংলাদেশিদের জীবিকা, নিরাপত্তা ও সুস্থতার ওপর গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। এই সংকট মোকাবিলায়, জাপান সরকার ৩.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই সহায়তা ইউএনএফপিএর চলমান কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, নারী ও কিশোরীদের বিরুদ্ধে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার, শিশুবিবাহ প্রতিরোধ এবং কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে। প্রকল্পটি কক্সবাজার ও নোয়াখালী জেলার জলবায়ু পরিবর্তন-প্রভাবিত এলাকায় বাস্তবায়িত হবে।
‘অ্যাডভান্সিং দ্য উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্ডা ফর ডিসপ্লেসড পারসন্স ফ্রম মিয়ানমার অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটিজ ইন কক্সবাজার অ্যান্ড নোয়াখালী ডিস্ট্রিক্টস’ নামে এই প্রকল্পে তিনটি প্রধান উপাদান রয়েছে, যা কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা নারী ও কিশোরীদের পাশাপাশি নোয়াখালী ও কক্সবাজার জেলার স্থানীয় বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলো পূরণ করবে।
প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হলো- যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিসেবার চাহিদা সৃষ্টি করা। একই সঙ্গে টেকসই ও শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। দ্বিতীয়টি, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে নারীদের জন্য সুরক্ষামূলক সেবা সহজলভ্য করা। এসব সেবা দেওয়ার জন্য নারীবান্ধব স্থান নারী-নেতৃত্বাধীন কমিউনিটি সেন্টার, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের স্থানীয় কার্যালয় এবং থানা পর্যায়ে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক একযোগে কাজ করবে। তৃতীয় লক্ষ্যটি হলো- কিশোর-কিশোরীদের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া, বিশেষ করে যারা শিশুবিবাহের ঝুঁকিতে আছে, যারা কিশোরী বয়সে গর্ভধারণ করা মায়েরা এবং অন্য মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় আছে তাদের সুরক্ষা করা। এছাড়াও প্রকল্পটি তাদের স্বাস্থ্য ও জীবন দক্ষতার বিষয়ে শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকবে, যা তাদের বয়ঃসন্ধিকাল থেকে প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে সুরক্ষা প্রদান করবে।