আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করাটা সম্ভব হতে পারে- নির্বাচনের সময় নিয়ে নিজের এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘পলিসি ডিসিশন’। এর সময় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঠিক হবে। তিনিই একমাত্র নির্বাচন ঘোষণার এখতিয়ার রাখেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আসিফ নজরুল ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানান।
নির্বাচনের সময়ের কথা জানালেও সেখানে সব ফ্যাক্টর পুরোপুরি ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাইনি উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি টিভি আলোচনায় আমি বলেছি, নির্বাচন হয়তো আগামী বছরের মধ্যে সম্ভব হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে, সেগুলো ব্যাখা করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু আমাদের সরকারের কথা থেকে সবাই বুঝবেন যে, নির্বাচনের জন্য সংস্কার ও রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলা হয়। এগুলোই সেই ফ্যাক্টর।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের কথা আমিও অনুষ্ঠানে বলেছি। আরও কিছু ফ্যাক্টর আমি অনুষ্ঠানটিতে ব্যাখা করেছি, যেমন-সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ইত্যাদি। এসব ফ্যাক্টর ঠিক থাকলে নির্বাচন হয়তো হতে পারে আগামী বছর। বলেছি, এটাও আমার প্রাথমিক অনুমান।
আইন উপদেষ্টা আরও লিখেন, নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলিসি ডিসিশন। এর সময় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঠিক হবে উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা আরও জানান, এই শর্তভিত্তিক ধারণা ও অনুমানকে কিছু গণমাধ্যম নির্বাচনের ঘোষণা হিসেবে দেখাচ্ছেন। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, এটা সঠিক নয়। তিনিই (প্রধান উপদেষ্টা) একমাত্র এটা ঘোষণার এখতিয়ার রাখেন।
প্রসঙ্গত, চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের পত্রিকা’ অনুষ্ঠানে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা গত বৃহস্পতিবার রাতে বলেছিলেন, ‘আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করাটা সম্ভব হতে পারে। তবে এতে অনেকগুলো ‘ফ্যাক্টর’ আছে।’
আসিফ নজরুলের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নানা আলোচনা সামনে আসে। এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন শুক্রবার বিকালে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কবে দেবে- এই প্রশ্ন ইস্যুতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি সরকারের নয়।
আরও পড়ুন: