কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার বিষয়ক (এলজিআরডি) উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বোর্ডের ৫৭তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সমবায় দাঁড়াতে পারছে না কারণ সমবায়ীদের মধ্যে সমবায়ের মন-মানসিকতার অভাব। সমবায়ীরা শুধু কমিটিতে ঢুকতে চায়, কী উন্নয়ন হলো সেটির দিকে তাদের লক্ষ্য নেই।
উপদেষ্টা আরো বলেন, সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাংকের সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে। যারা একসময় ব্যাংকে ছিলেন তারাই বেদখল করে বসে আছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিপিআরসি চেয়ারম্যান ড. হোসেইন জিল্লুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ, বার্ডের মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে তথ্য নিশ্চিত করে ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসানুল গনি সাংবাদিকদের বলেন, নারায়ণগঞ্জ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট লিমিটেডের ১২ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ১০ কোটি টাকা সুদ জমে। এর সাথে ব্যাংকে জামানত হিসেবে গ্রাহকের ১২ হাজার ভরি সোনা জমা রাখে কোম্পানিটি। তবে কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার পর এই সোনা নিতে কয়েকজন গ্রাহক আসে। কিন্তু এসব সোনা নামে বেনামে ভূয়া কাগজের ভিত্তিতে চুরি হয়ে যায় ব্যাংকের হেড অফিস মতিঝিল শাখা থেকে।
আহসানুল গনি আরও জানান, এই কাজের সাথে যুক্ত থাকায় সমবায় ব্যাংকের ৭ জন কর্মকর্তাকে আসামি করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলা করে একই বছরের অক্টোবরে চার্জশিট দেয় দুদক।
আরও পড়ুন: