কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে সহিংসতার ঘটনায় ১ হাজার ৫৮১ জন শহীদ হয়েছেন। এই আন্দোলনে আহত হয়েছেন ৩১ হাজারের বেশি মানুষ।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিহতদের বেশিরভাগই তরুণ এবং দরিদ্র পরিবারের। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর। অনেক আহতের তথ্য একাধিকবার এসেছে এবং অনেকের নাম এখনও এ তালিকায় যুক্ত হয়নি বলেও জানান তারা। তবে এটাই চূড়ান্ত নয় বলে জানান কমিটির সদস্যরা।
স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব তারেক রেজা বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ব্যক্তিদের একটি প্রাথমিক তালিকা প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রাথমিক তালিকায় মোট ১,৫৮১ জনের তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রাথমিক তালিকাটির তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এ কমিটি তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চূড়ান্ত তালিকা প্রদান করবে।
তারেক রেজা আরো জানান, তালিকা প্রণয়নের কাজে তাদের সহায়তা প্রদান করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের ব্যক্তিরাও তথ্য প্রদান করে আমাদের সহযোগিতা করেছেন, যা এ তালিকা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আমরা শহীদ পরিবারকে ফোন দিয়ে বা সরাসরি যোগাযোগ করে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছি। তবে এখনও হয়ত আরও অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা শহীদ হলেও তাদের নাম এ তালিকায় আসেনি। আমরা জেলা কমিটিগুলোর মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন প্রতিটি নাম ও তথ্য ভেরিফাই হয়ে আমাদের হাতে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক নাহিদা বুশরা, আইটি টিমের ফরহাদ আলম ভূইয়া, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।