মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া ৭নং ওয়ার্ড গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।হত্যা মামলাটিতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ৭/৮জনকে আসামি করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৬ জন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে চকরিয়া সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তা (সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার) আব্দুল্লাহ আল হারুনর রশিদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে যৌথ বাহিনীর টহল দল মালুমঘাট বাজারে অবস্থানকালে সংবাদ পায় ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব মাইজপাড়া কৈয়ারডেবা গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিমের বাড়িতে ২৪/২৫ জন অস্ত্রধারী ডাকাত জড়ো হয়েছে।তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় টহল দলটি যাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তাদের আটকের জন্য এগিয়ে যায় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। সম্মুখ সারির নেতৃত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট তানজিম একজন ডাকাতকে ধরে ফেলেন। ঐ ডাকাতকে ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আটক হওয়া মোহাম্মদ বাবুল প্রকাশ বাবুল ডাকাত ও এজাহারভুক্ত আসামি মোহাম্মদ নাসির তানজিমের উপর হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করে। চোখে ও বাম হাতের বাহুতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে নিহত সেনা কর্মকর্তার।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই ঘটনায় বাবুল স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে তানজিমকে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি জানিয়েছে।
বাবুল এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাত হিসেবে কুখ্যাত বলে তাকে স্থানীয়রা কসাই নামে চিনে। এছাড়াও এজাহারে ঘটনাস্থল থেকে ২টি দেশীয় অস্ত্র, ১১ রাউন্ড কার্তুজ, ১ টিপ ছুরি,৭টি মোবাইল ফোন,একটি টর্চ লাইট,একটি মোটরসাইকেল, একটি পিকআপ,একটি মানিব্যাগ সহ নগদ ২,২৮০ টাকা,ব্যাংকের এটিএম কার্ড উদ্ধার করার কথা উল্লেখ করা হয়।
চকরিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৬ আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।