October 7, 2024 - 5:34 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeজাতীয়রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করতে সরকারের দুই কমিটি

রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করতে সরকারের দুই কমিটি

spot_img

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য নানা কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার করার জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে সরকার জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র মোতাবেক এ দুটি কমিটি গঠন করা হয়।

জেলা পর্যায়ের কমিটিতে থাকবেন যারা- জেলা পর্যায়ের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার ও পাবলিক প্রসিকিউটরকে কমিটির সদস্য এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সদস্য সচিব হিসেবে কমিটিতে থাকবেন।

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটিতে থাকবেন যারা- মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। সদস্য হিসেবে কমিটিতে থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব (আইন) এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব।

জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে

(১) রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট-এর নিকট আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।

(২) আবেদনের সাথে এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিটের সার্টিফাইড কপি দাখিল করতে হবে।

(৩) আবেদন প্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দরখাস্তটি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) এর নিকট মতামতের জন্য প্রেরণ করবেন।

(৪) আবেদন প্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর) তাঁর মতামত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর প্রেরণ করবেন।

(৫) পাবলিক প্রসিকিউটর এর মতামত সংগ্রহপূর্বক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন।

(৬) জেলা কমিটির নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য দায়ের করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের নিকট সুপারিশ করবে।

(৬) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত সুপারিশ, মামলার এজাহার, চার্জশিট-সহ আবেদন প্রাপ্তির ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট “ছক” অনুযায়ী তথ্যাদি-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে।

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির সভাপতি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর উপদেষ্টা, সদস্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা) ও যুগ্মসচিব (আইন) এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের নিচে নয়)। কমিটির সদস্য-সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/ সহকারী সচিব।

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে

(১) জেলা কমিটির নিকট থেকে সুপারিশ প্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সুপারিশগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করবে ও মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

(২) দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর আওতাধীন মামলাসমূহের মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্য ক্রিমিনাল ল একাডেমিক অ্যাক্ট, ১৯৫৮-এর ১০ (৪) ধারার বিধানমতে কমিশনের লিখিত আদেশ ব্যতীত প্রত্যাহার করা যায় না। এ কারণে এ ধরনের মামলা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে। এ ধরনের মামলার বিষয়ে করণীয় পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ