নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য অঞ্চলে সম্প্রীতি নষ্ট করতে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাঙ্গামাটি সেনানিবাসে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও জাতিগোষ্ঠীর নেতা এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
হাসান আরিফ বলেন, সভায় সবাই বলেছেন তারা সম্প্রীতি চান। তারপরেও কেন ছন্দপতন হচ্ছে, সবাই বলছে ষড়যন্ত্র। সম্প্রীতি নষ্ট করতে বাইরে থেকে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পাহাড়ে অশান্তির পেছনে জড়িতদের বের করতে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে। প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কোনো ভেদাভেদ দেখা যায়নি। প্রত্যেকের কণ্ঠে একটি কথা ছিল যে তারা সবাই সম্প্রীতি চায়। ফলে আশা করি রাঙ্গামাটি সুন্দর ও সম্প্রীতির শহর হিসেবে বাংলাদেশ ও বিশ্বে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।’
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, রাঙ্গামাটিতে আসার সময় দেয়ালে দেয়ালে যে গ্রাফিতি দেখেছি, সেই গ্রাফিতির যে বার্তা সেটা শুধু রাঙ্গামাটিতে নয়, সারা বাংলাদেশ নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামেও সেই বার্তা দেখতে চাই। সেখানে সম্প্রীতি থাকবে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব। আমরা সকলে সম্প্রীতি চাই।
এদিকে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা কোনোভাবেই অবনতি হতে দেওয়া যাবে না। যারা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করবে তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। যারা আইনশৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, যারা সহিংসতার চেষ্টা করবে তাদের হাতও ভেঙে দেওয়া হবে। কোনো অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করা যাবে না।
এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লে. জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, পুলিশের আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাইনুর রহমান, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শওকত ওসমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।