কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে তিন মামলায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে তিন মামলায়, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দুই মামলায়, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে তিন মামলায়, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ছয় মামলায় নতুন করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের আদালতে আনা হয়। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন থানার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী আল ফারাবীর আদালত এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
রাজধানীর বাড্ডা থানার পৃথক তিন মামলায় আনিসুল হক ও জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একই থানার পৃথক দুই মামলায় আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাড্ডা থানার দুটি ও খিলগাঁও থানার এক মামলায় সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সাবেক বিচারপতি মানিককে আদাবর থানার গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা, লালবাগ থানার আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা ও বাড্ডা থানার পৃথক চারটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। জুলাই আগস্টে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন নির্মূল করতে পরিচালিত ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলিতে হতাহতের ঘটনায় এসব মামলা করা হয়। এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে গ্রেফতার হন আনিসুল, সালমান, মামুন, পলক ও মানিক।
রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে আনিসুল ও সালমান, বিমানবন্দর থেকে পলক, সিলেটের কানাইঘাট সিমান্ত দিয়ে ভারতে পালাতে গিয়ে আটক হন মানিক।
বৈষম্য বিরোধী টানা ৩৬ দিনের আন্দোলন নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় ক্যাডারদের হামলায় সরকারি হিসেবেই আট শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এ সংখ্যা আরো বেশি বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। গুলিতে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছে বহু মানুষ। এখনো চিকিৎসাধীন কয়েক হাজার মানুষ। জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হবে।
এছাড়াও ভিকটিমদের পক্ষে বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিগত সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গসহ আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা ও দলীয় ক্যাডারদের আসামি করা হয়েছে।