কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দুর্বৃত্তদের নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন শিগগিরই চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) স্টেশন চালুর কারিগরি বিভিন্ন দিক পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মেট্রোরেল চলাচল শুরুর জন্য জনবলের কাজের তালিকা প্রায় ঠিক হয়ে গেছে।
ডিএমটিসিএলের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, দ্রুত কাজীপাড়া স্টেশন চালু এবং শুক্রবারে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করার ওপর জোর দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, কাজীপাড়া স্টেশনটি স্থানীয়ভাবে পাওয়া যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম ও উপকরণ দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দ্রুত যাত্রীদের স্বস্তি দেওয়া। এ জন্য সাশ্রয়ী তবে নিরাপদ রক্ষণাবেক্ষণের চেষ্টা চলছে। কাজীপাড়া স্টেশন চালুর বিষয়ে কারিগরি দল ও জাপানি পরামর্শক কাজ করেছেন। তবে মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে আরও কিছু সময় লাগবে। চেষ্টা থাকবে যথাসম্ভব দ্রুত চালু করা।
গত সোমবার ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে সরকার। তাকে ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর এই দায়িত্ব দিয়েছিল তখনকার আওয়ামী লীগ সরকার। ছিদ্দিকের জায়গায় চলতি দায়িত্ব পান ডিএমটিসিএলের লাইন-৫ এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
গত ২৭ জুলাই তৎকালীন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটা এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না।
ডিএমটিসিএলের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিল, কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার মতো খরচ করতে হবে। অবশ্য এখন সংস্থাটির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, দুটি স্টেশন মেরামতের ব্যয় ৫০ কোটি টাকা নাও ছাড়াতে পারে। কাজীপাড়া স্টেশনে চারটি ভেন্ডিং মেশিন, ছয়টি টিকিট কাটার কাউন্টার এবং ছয়টি আসা-যাওয়ার স্বয়ংক্রিয় গেট ভাঙচুর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই বিকালে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল। পরদিন মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা চালানো হয় পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনে।
এক মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ২৫ অগাস্ট মেট্রোরেল চালু করা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি চালু করা যায়নি।