মোঃ বাদল হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার বাড্ডা নামক স্থানে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দিনের পর দিন হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের (৪নং ওয়ার্ড) কালিশুরী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফারুক মৌলভীর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার নাসরুল্লাহ।
যানা গেছে, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার পতনের মুহূর্তে (৫ আগষ্ট) সোমবার বিকাল চারটার দিকে সরকারের অবস্থা পতনের তীব্র আকার ধারণ করলে পুলিশ প্রশাসন ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি মিছিলে গুলি ছুড়লে বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে মারাত্মক ভাবে আহত হয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ইঞ্জিনিয়ার নাসিরুল্লাহ। পরে অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা আহত অবস্থায় প্রথমে নাসরুল্লাহকে বাড্ডায় স্থানীয় একটি নগর স্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে কিছু দিন চিকিৎসা দেওয়া হলেও শরীরে থাকা প্রায় তিন’শ র মতো স্প্লিন্টার পুরোপুরি বেড় করতে সক্ষম হয়নি চিকিৎসারা। পরে সেখান থেকে ঢাকার ধানমন্ডি ইবনে সিনায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। বর্তমানে ঢাকা শ্যামলী পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন গুলিবিদ্ধ নাসরুল্লাহ। চিকিৎসকদের পরামর্শ, যতদিন বেঁচে থাকবেন ততোদিন নাকি এই গুলি স্প্লিন্টার শরীরের বহন করতে হবে। এখন প্রায় ৩’শ স্প্লিন্টার শরীরের ভিতর রয়েছে। হাসপাতালে প্রতিটি দিন কাটাচ্ছে ভীষন যন্ত্রণায়। ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা দিন কাতরাচ্ছে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ নাসরুল্লাহ।
সহযোদ্ধারা মনে করেন, যাদের ত্যাগ ও জীবন এর বিনিময়ে অর্জন হয়েছে নতুন স্বাধীনতা, আমরা কি তাদের নূন্যতম একটু খোঁজ খবর নিতে পারছি? আরাম-আয়েশের জীবন ছেড়ে যারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেমেছিলেন তাদের প্রতি দেশ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা থাকা উচিত।