কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ও তার পরিবারের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাচ্চুর স্ত্রী শিরিন আক্তার, তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না, ছেলে শেখ রাফা হাই ও শেখ ছাবিদ হাই অনিক। এ মামলায় আমিন আহমেদ জামিনে রয়েছেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নুরুল হুদা বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ৫ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল হাসান গাজী আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ২০১২ সালের ৮ জুলাই ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার ৬ নম্বর প্লটের ৩০ দশমিক ২৫ কাঠা জমি ১১০ কোটি টাকায় ক্রয়ের জন্য চুক্তি করেন। এই চুক্তি করা জমির মূল্য ১১০ কোটি টাকা ও চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের সময় পরিশোধিত অর্থ ১০ কোটি টাকা। চুক্তিপত্র অনুযায়ী দুটি দলিলে ভূমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মধ্যে ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর প্রথম দলিলে ১৮ কাঠা জমির দাম ৯ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, শেখ শাহরিয়ার পান্না ও শিরিন আক্তার।
অন্যদিকে দ্বিতীয় দলিলে ওই একই বছরে ১২ দশমিক ২৫ কাঠার দাম ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা হলেন শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও শেখ রাফা হাই। জমির মোট রেজিস্ট্রেশন মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। রেজিস্ট্রেশনে মূল্য ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম দেখিয়ে অবৈধ আয় গোপন করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এ ছাড়া, জমির মূল্য কম দেখিয়ে সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার রাজস্বও ফাঁকি দিয়েছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।