November 15, 2024 - 5:03 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeজাতীয়মৌলভীবাজারে ৬৪ কোটি টাকা ভেসে গেলো নদীর জলে

মৌলভীবাজারে ৬৪ কোটি টাকা ভেসে গেলো নদীর জলে

spot_img

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের চারটি নদীতে ভাঙন রোধে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজে পানি উন্নয়ন বোর্ড গত ৫ বছরে ৬৪ কোটি টাকা জলে ঢেলেছে। এই ৬৪ কোটি টাকা বন্যা প্রতিরোধে জেলাবাসীর কোনো কাজেই আসেনি। বরং বিভিন্ন জায়গায় জরুরি বরাদ্দের নামে লুটপাট করা হয়েছে লাখ লাখ টাকা। এমন অভিযোগ ছিল আওয়ামী লীগ নামধারী ঠিকাদার ও স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

এদিকে জেলাবাসীকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে জেলার প্রধান মনু নদীতে ২০২১ সালে ৯৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রায় ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এ প্রকল্পও আলোর মুখ দেখেনি আজও। ২০২৩ সালের জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। দ্বিতীয় ধাপে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ৪৭ শতাংশ। কাজের মান নিয়েও রয়েছে বিভিন্ন প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রের বরাতে জানা যায়, জেলার চারটি নদীতে বিগত ৫ বছরে বিভিন্ন জায়গায় জরুরি বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে মনু নদীতে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ৩২ হাজার, ধলাই নদীতে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭৮ হাজার ও জুড়ি নদীতে ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

এদিকে ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরীন ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় প্রকল্পের (১ম পর্যায়) (২য় সংশোধিত) আওতায় মনু নদীতে ১৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার, ধলাই নদীতে ৩ কোটি ৯ লাখ ৩২ হাজার, ফানাই নদীতে ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৩৪ হাজার ও জুড়ী নদীতে ৩ কোটি ৭৬ হাজার টাকা এবং ওই নদীর হাওড় এলাকায় আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন প্রকল্পে ১২ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সমস্ত নদীতে বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নামকাওয়াস্তে কাজ করে বিল তুলে নেয়। এতে লাভবান হয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সরকারের বরাদ্দকৃত এই অর্থ মৌলভীবাজার জেলাবাসীর কোনো কাজে আসেনি।

এদিকে মনু নদীতে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান থাকার পরেও একাধিক জায়গায় জরুরি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জেলার সচেতন মহল বলছে, প্রকল্প অনুমোদন অনুযায়ী মেগা প্রকল্প সমাপ্ত হলে বন্যা থেকে রক্ষা পেত জেলার কয়েক লাখ মানুষ। জেলার নদীগুলোতে সঠিকভাবে কাজ না হওয়া প্রতিবছরই পড়তে হয় বন্যার কবলে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন জেলাবাসী। একবারের বন্যায় ঘুরে দাঁড়ানোর পূর্বেই ফের দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ও বরাদ্দের বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই। প্রতিবছর বন্যা হয় তাই স্থায়ীভাবে কাজ করারও সুযোগ হয় না। তবে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি পরিকল্পিতভাবে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরির জন্য।”

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ

ওয়ালটন-কোয়াব টাঙ্গাইল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন আমেনা স্পোর্টস

স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব), টাঙ্গাইল এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ালটন-কোয়াব টাঙ্গাইল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০২৪’ এ...

হা ওয়েল টেক্সটাইলসের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হা ওয়েল টেক্সটাইলস (বিডি) পিএলসি গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার...

শ্রম খাত সংস্কারের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের তৈরি খাতে আরও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার প্রয়াসে শ্রম খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার...