মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালীন মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী যশোরের ঝিকরগাছার উপজেলার সন্তান ইমতিয়াজ হোসেন জাবিরের (২২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) ঝিকরগাছার হাজিরবাগ ইউনিয়নের দেউলি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জাবির ঢাকার সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি দেউলি গ্রামের নওশের আলীর ছেলে।
গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) ঢাকার বনশ্রী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এদিন বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়।
শনিবার সকালে নিহত জাবিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে একটি কক্ষে ছেলে হারানো শোকে কাতর হয়ে পড়ে আছেন মা শিরিনা বেগম। কাঁদতে কাঁদতে মাঝে মধ্যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। জাবিরের বাবা নওশের আলী অসুস্থ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
জাবিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কোনো কথা বলতে রাজি হননি নিহতের স্বজনেরা। গোটা এলাকায় শোক ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বলেন, জাবির অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিল। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতো। গত শুক্রবার জানতে পারি নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় তার পায়ে গুলি লাগে। জাবিরের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা শওকত হোসেন বলেন, আমরা এলাকাবাসী শুধু এটুকুই জানি যে সে নামাজ পড়ে বের হচ্ছিল, তখন গন্ডগোলের মধ্যে পড়ে সে গুলিবিদ্ধ হয়। জাবির বাবা নওশের আলী মুরগির ফার্ম ব্যবসায়ী। নওশের আলীর দুই ছেলে মেয়ে। জাবিরের বোন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।