জুলাই ৮, ২০২৪ - ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ
Homeসারাদেশ ও রাজনীতিসারাদেশউল্লাপাড়ায় ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে কৃষি জমির ফসল

উল্লাপাড়ায় ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে কৃষি জমির ফসল

spot_img

মাসুদ রানা, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সুমাইয়া ব্রিকস নামের ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে কৃষকদের সবজি ক্ষেত ও নার্সারী বাগান পুড়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের গুয়াগাঁতী গ্রামের অন্ততঃ ১শ ৫০ বিঘা জমির বিভিন্ন সবজি পুড়ে গেছে।

এ ব্যাপারে ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রে তাদের প্রায় ৭ লাখ টাকার সবজি ইট ভাটার নিঃসৃত গ্যাসে পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন। ইট ভাটার মালিক শফিকুল ইসলাম শফি বলছেন, তার ইট ভাটার গ্যাসে সবজি’র তেমন ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তার পরেও অভিযোগকারী কৃষকদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গুয়াগাঁতী গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষকের স্বাক্ষর করা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গুয়াগাঁতী মৌজায় পার্শবর্তী অলিপুর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম শফির একটি ইট ভাটা রয়েছে। এই ইট ভাটার চারপাশে তাদের গ্রামের অন্ততঃ ৩ শ’ বিঘা ফসলি জমি রয়েছে। এসব জমির মধ্যে প্রায় ১শ’৫০ বিঘা জমিতে তারা এ বছর পটল, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, ঢেড়শ, ঝিংগা, করলাসহ নানা ধরণের সবজি এবং নার্সারী চাষ করেছিলেন। কিন্তু উক্ত শফিকুল ইসলামের ইট ভাটা থেকে সৃষ্ট গ্যাসে ভাটার চারপাশে ১ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকার সবজিক্ষেতগুলো পুড়ে গেছে। এতে বর্তমান বাজার মূল্যে তাদের প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অভিযোগকারী কৃষকেরা অবিলম্বে তাদের ফসলি মাঠ থেকে ইট ভাটা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া এবং তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী জানান, তিনি গুয়াগাঁতী গ্রামের মাঠে ইট ভাটার গ্যাসে পুড়ে যাওয়া সবজি ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন। আসলে প্রতিটি ইট ভাটা থেকে যে গ্যাসের উৎপত্তি হয় তাতে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনোঅক্সাইড থাকায় তা ফসলের প্রচুর ক্ষতি করে। প্রকৃত ওই মাঠে প্রচুর সবজি গাছ পুড়ে গিয়ে কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তিনি এই ক্ষতি পূরণের ব্যাপারে কৃষকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষন করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইট ভাটা মালিক শফিকুল ইসলাম শফির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার ইট ভাটার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স রয়েছে। কৃষকরা তাদের যে ক্ষতির কথা বলেছেন তা সঠিক নয়। তার পরেও তিনি অভিযোগকারী কৃষকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা গুয়াগাঁতী গ্রামের সবজি চাষীদের অভিযোগ পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিনি ইতোমধ্যেই পরিবেশ অধিদপ্তরের সিরাজগঞ্জ জেলা অফিসকে বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছেন।

অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ