ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত করে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Posted on July 3, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত করার মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। নিম্নমানের ও ভেজাল ওষুধের অব্যাহত স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হলে এর কোন বিকল্প নেই।

বুধবার (৩ জুলাই) সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আজ সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্ক (এসইএআরএন) হচ্ছে ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

অনুষ্ঠানে ডা. সামন্ত লাল সেন আরো বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সমাবেশে বক্তব্য দেয়াটা আমার জন্য সম্মানের। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এই সমাবেশ আমাদেরকে একত্রিত করে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং আমাদের অঞ্চলে ওষুধের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ এনে দিয়েছে।

তিনি বলেন ‘আমরা সবাই জানি, ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং গুণগতমান নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। এই প্রচেষ্টায় যে সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হই, তার মধ্যে রয়েছে নি¤œমানের এবং ভেজাল ওষুধের অব্যাহত ঝুঁকি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কে কাজ করার মাধ্যমে আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে পারি। এই জন্য আমরা আমাদের যৌথ দক্ষতা, সম্পদ এবং সর্বোত্তম অনুশীলনকে কাজে লাগাতে পারি। তথ্য আদান-প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারি।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর বক্তৃতা করেন।

এতে সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং পূর্ব তিমুরের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।