জাহাঙ্গীর কবীর: বিনিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সার্বিক অবস্থা জেনে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই জানতে হবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ও আনুপাতিক হার (পিই রেশিও)। একটি কোম্পানির পিই রেশিও যত কম হবে বিনিয়োগের জন্য কোম্পানিটি তত উত্তম। সাধারণত ৪০ পর্যন্ত পিই রেশিও স্বাভাবিক ধরা হয়। এর উপরে গেলে অবশ্যই সেটি ঝুঁকিপূর্ণ। পিই রেশিও থেকে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিট সম্পদমূল্য (এনএভি), এটা যত বেশি বিনিয়োগের জন্য ততই উত্তম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায় , ২০১৯ এর সমাপ্ত বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯.৪৫ টাকা , ২০১৮ সালে ছিল ৮.২৭ টাকা, ২০১৭ সালে ছিল ৭.২৫ টাকা, ২০১৬ সালে ছিল ৬.৬২ টাকা, ২০১৫ সালে ছিল ৪.৪১ টাকা ।
কোম্পানিটির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০১৯ সালে ৬২ টাকা ৪৫ পয়সা, ২০১৮ সালে ৫৫ টাকা, ২০১৭ সালে ৪৯ টাকা ৭৪ পয়সা, ২০১৬ সালে ৪৫ টাকা ৪৯ পয়সা, ২০১৫ সালে ৪১ টাকা ৮৭ পয়সা ।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক , ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ নগদ , ২০১৭ সালে ৩০ শতাংশ নগদ , ২০১৬ সালে ৩০ শতাংশ নগদ এবং ২০১৫ সালে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোম্পানিটি ৫০০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৯৯৭ সালে তালিকভূক্ত হয়। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৩১ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার ১৩ কোটি ১৪ লাখ ৮১ হাজার ৫০৪ টি।
ডিএসই‘র তথ্য অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে রয়েছে ৪৮.৩৪ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩৪.৯৬ শতাংশ শেয়ার, বিদেশীদের হাতে রয়েছে ৩.৯১ শতাংশ শেয়ার এবং পাবলিক শেয়ার হোল্ডারদের কাছে আছে ১২.৭৯ শতাংশ।
৩০ডিসেম্বর ,২০২৯ সমাপ্ত বছরে কোম্পানির শট টার্ম লোন ৮১ কোটি ৮৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং লং টার্ম লোন রয়েছে ৬৮৫ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। একই সময়ে রিজার্ভ অ্যান্ড সারপ্লাসে ছিল ৫৯৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
গত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর উঠানামা হয়েছে ১৬.৬০ টাকা থেকে ৩৩.৯০ টাকার মধ্যে । গতকাল সমাপনী দর ছিল ১৮.৩০ টাকা । আজকের ওপেনিং ছিল ১৭.৯০ টাকা এবং সর্বশেষ কোম্পানিটির সমাপনী দর ছিল ১৭.৯০ টাকা । ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হয়ে কোম্পানিটি বর্তমানে জেড ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।