বিডি কর্পোরেটঃ সরকার অনেক সময় অভিযোগ করে, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা বিভিন্ন সময়ে বিদেশি পণ্য ডাম্পিং করার অভিযোগ করলেও এ বিষয়ে সরকারকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করে না। তাদের কাছে কোনো গবেষণা নেই; যার উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেবে। সে কারণে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ ক্ষেত্রে তো আপনাদের একটা ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে বা দরকার।
হাফিজুর রহমান:
ধরুন একটা পরিবারে খুন হলো। এখন কে খুন করলো, কীভাবে করলো, সবকিছু কী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বের করে দেবে? তারপর কী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে? তাহলে পুলিশের কী দরকার। আসলে এ কাজগুলো করার জন্য তো সরকারের বিভিন্ন অথরিটি রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা রয়েছে বিষয়গুলো দেখভাল করার। বাণিজ্য সচিব রয়েছেন, যিনি আইনের মধ্যে থেকে তাদেরকে চিঠি দিতে পারেন। তারপর এনবিআরের পক্ষ থেকে চিঠি দিতে পারে।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি এ প্রশ্ন করা হতো যে, ১৫ শতাংশ ডিউটি (আমদানি শুল্ক) বাড়ার আগে একটা মোটরসাইকেলের দাম ছিল ১ লাখ ২০ হাজার; ডিউটি বাড়ার পরে এটির দাম ১ লাখ ১৫ হাজার হলো কীভাবে? এ প্রশ্ন কি আমরা করতে পারি না? প্রশ্ন করার অধিকার রাখে সরকার।
অর্থাৎ বাস্তব অবস্থাটা হলো ডিউটি বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু দাম বাড়ছে না। এর সরাসরি ভিকটিম হচ্ছে দেশীয় উৎপাদনকারীরা।
এতে সাধারণ গ্রাহকরা সাময়িকভাবে লাভবান হচ্ছে ঠিক। তারা কম দামে মোটরসাইকেল কিনতে পারছে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে কিন্তু এটি তাদের জন্যেও মঙ্গলজনক নয়। কারণ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বিদেশি মোটর সাইকেলের দাম কিন্তু অনেক বাড়িয়ে দেবে তারা।
অন্যদিকে দেশীয় কোম্পানিগুলো শক্তভাবে দাঁড়াতে পারলে, সহযোগী শিল্প অর্থাৎ ভেন্ডার উন্নত হলে দেশের বাইরে থেকে কোনো কম্পোনেন্ট আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। এতে পণ্যের দাম স্থায়ীভাবে কমে যাবে। সেটি কি বেশি লাভজনক নয়?
এই বিষয়টি আমরা সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু সরকার বোধহয় সাময়িক লাভটিকেই বড় করে দেখছে।