নিজস্ব প্রতিবেদক : আবেদন, নির্বাচন, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষে একাদশ শ্রেণিতে বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসায় ভর্তি শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর)। আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত এ ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। ভর্তি শেষে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৮ অক্টোবর।
এদিকে, চলতি বছর একাদশ শ্রেণিতে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরের বেসরকারি কলেজগুলোর ইংরেজি মাধ্যম শাখায় ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ এ ফি নেওয়া যাবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র জানায়, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে আবেদন, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১২ লাখ ৯০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে তাদের নির্ধারিত কলেজে গিয়ে ভর্তির সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।
অন্যদিকে এবার তিন ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া শেষে আবেদন করেও কলেজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ১২ হাজার ৫৯৩ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া ৬৬২ জনও রয়েছেন।
সাড়ে ১২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী কলেজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলেও আবেদনের সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনা থাকলে ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। তবে সেই সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে জানান এ কর্মকর্তা।
ঢাকা মহানগরের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমে ভর্তি ফি পাঁচ হাজার টাকা। ঢাকা মহানগরের নন-এমপিও কিংবা আংশিক এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা মাধ্যমে ভর্তি ফি ৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে ৮ হাজার ৫০০ টাকা।
ঢাকার বাইরের মহানগরীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভার্সনে ভর্তি ফি ৩ হাজার টাকা। জেলাপর্যায়ে ২ হাজার টাকা। উপজেলা বা মফস্বলে ১ হাজার ৫০০ টাকা।
ঢাকার বাইরের মহানগরীতে নন-এমপিও বা আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ভার্সনে ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে ৬ হাজার টাকা। জেলা পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে ৩ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে ৪ হাজার টাকা। উপজেলা বা মফস্বলে বাংলা ভার্সনে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার টাকা।
গত ১০ আগস্ট একাদশে ভর্তিতে অনলাইন আবেদন শুরু হয়। ২০ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম ধাপে আবেদন নেওয়া হয়। ফল প্রকাশ করা হয় ৫ সেপ্টেম্বর। প্রথম ধাপে কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ১৮৩ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ছিলেন সাড়ে ৮ হাজার।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে আবেদন চলে ১২-১৪ সেপ্টেম্বর। ১৬ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে কলেজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন ২২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৯১ জন।
তৃতীয় বা শেষ ধাপে ২০-২১ সেপ্টেম্বর ভর্তির আবেদন নেওয়া হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, আবেদন করেও ১২ হাজার ৫৯৩ জন শিক্ষার্থী কলেজ পাননি। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া ৬৬২ জন।