অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম ব্যাপক কমেছে। গত ৭ মাসের মধ্যে যা প্রায় সর্বনিম্ন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে জানানো হয়, আগামীতে সুদের হার কমাতে পারে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এছাড়া করোনা বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে আবারও সীমান্ত খুলে দিয়েছে চীন। এতে ইউএস তথা প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলারের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে।
চীনের অফশোরে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার বিপরীতে বেশ শক্তিশালী হয়েছে ইউয়ান। বিগত ৫ মাসের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি। ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে ডলারের দর অনেক কমে। গত এক যুগের মধ্যে যা সর্বাধিক।
বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, সামনের দিনে ৫ শতাংশের অধিক সুদের হার বাড়াবে না ফেড। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে হার সোয়া ৪ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশের মধ্যে।
গত শুক্রবার দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকায় অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান রয়েছে। অধিকন্তু চাকরির সংখ্যাও বেড়েছে। যদিও ওই অঞ্চল মন্দার শঙ্কাতেই রয়েছে। এতে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ডলার বিক্রি করতে প্ররোচিত হচ্ছেন ব্যব্সায়ীরা।
গত মাসে ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বাড়ায় ফেড। এর আগে টানা ৪ মেয়াদে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট করে বৃদ্ধি করে তারা। তবে আগামীতে সেটা ২৫ বেসিস পয়েন্টে নেমে আসতে পারে।
প্রধান ৬ আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে সবশেষ খবর অনুযায়ী, ডলার সূচকের পতন হয়েছে ০.১ শতাংশ। এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ১০৩.৭২-এ। ফলে ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ মুদ্রার দাম বেড়েছে ০.৩ শতাংশ। প্রতি পাউন্ড স্টার্লিং বিক্রি হচ্ছে ১ ডলার ২১৩ সেন্টে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান মুদ্রা ইউরোর মূল্যমান ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ০.২ শতাংশ। প্রতি ইউরো বিকিয়েছে ১ ডলার ০৬৬৪ সেন্টে। তবে ডলারের বিরুদ্ধে দুর্বল হয়েছে জাপানি ইয়েন। প্রতি ডলারের দর স্থির হয়েছে ১৩২.৩৩ ইয়েনে।