October 9, 2024 - 6:22 pm
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeকর্পোরেট-অর্থ ও বাণিজ্যঅর্থ-বাণিজ্যডলার সংকটে দিশেহারা আমদানি পণ্যের ব্যবসায়ীরা

ডলার সংকটে দিশেহারা আমদানি পণ্যের ব্যবসায়ীরা

spot_img

অর্থ-বাণিজ্য:দেশে ডলার সংকটে ইলেকট্রনিকস, গাড়িসহ গতএক বছরে বেশকিছু পণ্যের অন্তত ত্রিশ শতাংশ আমদানি কমেছে। যার ফলে, দামও বেড়েছে স্থানীয় বাজারে। অন্যদিকে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি আর চড়া দামের কারণে, এই সময়ে বিক্রি কমেছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। তাই, ব্যবসা গোটাতে বাধ্য হচ্ছেন, আমদানি নির্ভর ব্যবসায়ীরা। 

অব্যাহত ডলার ক্ষয় ঠেকাতে, গত অর্থবছরের শুরু থেকে আমদানি ব্যয়ে রাশ টানে সরকার। উদ্দেশ্য ছিল, তুলনামূলক কম দরকারি এবং বিলাসী জিনিসপত্রের পেছনে খরচ কমানো। কিন্তু, এই উদ্যোগের কারণে, এক রকম মুখ থুবড়ে পড়েছে বিদেশি পণ্যনির্ভর বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটের অন্যতম বড় এই প্রতিষ্ঠান এবি ইলেকট্রনিক্সের প্রধান আমদানি উৎস জাপান, কোরিয়া, আমেরিকাসহ কয়েকটি দেশ। একযুগ ধরে ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকা মোস্তফা জামান জানান, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে, ভালোই চলছিল ব্যবসা। কিন্তু, হঠাৎ করেই ডলার সঙ্কট শুরু হওয়ায় আশঙ্কাজনক হারে কমে যায় আমদানি। ফলে, পণ্য সঙ্কটে বন্ধ করে দিতে হয় একাধিক শাখা।

মোস্তফা জামান বলেন, এক লাখ টাকার জিনিসের মূল্য এখন হয়ে গেছে এক লাখ ত্রিশ-চল্লিশ হাজার টাকা। সাধারণত যারা কিনতে আসতো তারা তো এখন সেটা কিনতে যেতে পারছে না। আমরা আগে বিক্রি করলে যে পরিমাণ লাভ হতো এখন বিক্রি করলেও ওই পরিমাণ লাভ হয় না। প্রোডাক্টের তো আমাদের রেট বেড়ে যাচ্ছে।

আমদানিতে বড় ব্যয়ের আরেকটি খাত পুরনো গাড়ি। সেখানেও, নানা শর্ত আরোপ করায়, চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে, বছর খানেকের ব্যবধানে, প্রতি গাড়িতে দাম বেড়েছে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে, চড়া মূল্যস্ফীতির কারণে, ক্রয় ক্ষমতা কমেছে বড় একটা অংশের।

একজন গাড়ির বিক্রেতা বলেন, গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে আমরা ডলার ক্রাইসিস ও এলসি নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমাদের গাড়ির বাজার মূল্য আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। সে বাড়ার কারণে অনেক ক্রেতার ইচ্ছা থাকলেও সামর্থ্যের মধ্যে তার গাড়িটা পাচ্ছে না।

পুরনো গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডার হিসেবে, কেবল ডলার সঙ্কটেই বছর ব্যবধানে আমদানি কমেছে ৩০ শতাংশের ওপরে। যার প্রভাবে স্থানীয় বাজারে দামও বেড়েছে সমান্তরালে। অন্যদিকে, ঋণপত্র খুলতেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনৈতিক চর্চা করছে কিছু কিছু ব্যাংক। সংগঠনের সভাপতি মনে করেন, অবস্থার উন্নতি না হলে, অল্প সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে বহু প্রতিষ্ঠান।

বারভিডার সভাপতি হাবিব উল্ল্যাহ ডন বলেন, যদি এলসিই না করতে পারি, গাড়ি আমদানিই না করতে পারি তাহলে তো ব্যবসাটা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হচ্ছে। আবার অনেক ব্যাংকগুলো এই সময়ে অনৈতিক কিছু সুযোগ সুবিধা নিতে চায়। অর্থাৎ একেকজনের সঙ্গে একেকজনের এলসির যে অংকটা আছে সেটা ডিল করার চেষ্টা করছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, সবশেষ অর্থবছরে সার্বিক আমদানি কমেছে ১৬ শতাংশ।

সংবাদ সূত্র: চ্যানেল ২৪

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ