স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে লাল কার্ড দেখলেন ক্যারিবীয় তারকা ক্রিকেটার সুনীল নারাইন।চলতি বছরেই ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) শাস্তি হিসাবে লাল কার্ড দেখানোর নিয়ম চালু হয়েছে। তবে টুর্নামেন্টের প্রথম ১১ ম্যাচে একবারও আম্পায়ারদের লাল কার্ড ব্যবহার করতে হয়নি। লিগের ১২ নম্বর ম্যাচে এসে প্রথমবার পকেট থেকে লাল কার্ড বের করতে হয় আম্পায়ারকে। এক্ষেত্রে হতাশাজনক কারণে ইতিহাস গড়েন সুনীল নারাইন।
নিয়ম অনুযায়ী, লাল কার্ড পাওয়া দলের একজন খেলোয়াড়কে মাঠের বাইরে যেতে হবে। কোন খেলোয়াড় যাবেন সেটা নির্ভর করবে দলটির অধিনায়কের উপর।
প্রায়শই ক্রিকেটে স্লো ওভার রেটের কারণে নির্ধারিত সময় অতিক্রম করে শেষ হয় ম্যাচ। এমন ঘটনা রুখতে আইসিসি তিনটি ফরম্যাটেই নির্ধারিত সময়ের ভেতর সব ওভার শেষ করতে না পারা আন্তর্জাতিক দলগুলোর জন্য জরিমানা চালু করেছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কাটা হয় পয়েন্টও।
সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে ম্যাচে ত্রিনাবাগো নাইট রাইডার্স নির্ধারিত সময়ে ২০ ওভারের বোলিং কোটা পূর্ণ করতে পারেনি। ২০তম ওভার শুরুর আগে স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়ায় তাদের একজন ক্রিকেটারকে লাল-কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান আম্পায়ার। এক্ষেত্রে দলের ক্যাপ্টেনকে ঠিক করতে হয়কে বাইরে যাবেন।
ক্যাপ্টেন পোলার্ড শেষ ওভারে নারাইনকে মাঠের বাইরে যেতে বলেন, যেহেতু তিনি আগেই তার বোলিং কোটার ৪ ওভার পূর্ণ করেছিলেন। সুতরাং, এটা বলা মোটেও ভুল হবে না যে, দলের ভুলের মাশুল দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নারাইনকে। গোটা দলের হয়ে শাস্তি মাথা পেতে নেন ক্যারিবিয়ান রহস্য স্পিনার।
সিপিএল অবশ্য ভিন্ন পথে হেঁটেছে। তাতে সমালোচনাও হচ্ছে। টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষের ফুটবলের মতো খেলোয়াড় মাঠের বাইরে বের করার নিয়মে চটেছেন পোলার্ড। তার কাছে বিষয়টি স্রেফ হাস্যকর।
‘সত্যি বলতে, এমন নিয়ম প্রত্যেকের করা কঠোর পরিশ্রম শেষ করে দেবে। আমরা দাবার গুটির মতো এবং আমাদের যা বলা হয় তাই করতে যাচ্ছি। যতদ্রুত সময়ের ভেতর সম্ভব আমরা খেলতে চাচ্ছি। এ ধরনের টুর্নামেন্টে ৩০-৪৫ সেকেন্ডের জন্য যদি আপনাকে শাস্তি দেয়া হয়, তা একেবারেই হাস্যকর।’
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ইনিংস ৮৫ মিনিটে শেষ করতে হবে। তা না হলে বোলিং করা দলকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। ১৭তম ওভার শেষ করতে হবে ৭২ মিনিটে, ১৮তম ওভার ৭৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে এবং ১৯তম ওভার ৮০ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে শেষ করতে হবে।
লাল কার্ড দেখা ম্যাচে অবশ্য ৬ উইকেটে জিতেছে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। আগে ব্যাট করা সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ৫ উইকেটে তোলে ১৭৮ রান। জবাবে নিকোলাস পুরানের ৩২ বলে ৬১, পোলার্ডের ১৬ বলে ৩৭ ও আন্দ্রে রাসেলের ৮ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৭ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় ত্রিনবাগো।
আরও পড়ুন:
ইউএসএ টি-টেনে প্রথম চ্যাম্পিয়ন টেক্সাস