নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। ঋণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোনো কিস্তি পরিশোধ না করায় কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মামলা করেছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। অর্থ ঋণ আদালত, ২০০৩ এর আওতায় সম্প্রতি কোম্পানিটির বিরুদ্ধে শাহজালাল ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিস এ মামলা করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, কোম্পানিটির কাছে শাহজালাল ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ ১৩৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৭ সালে শাহজালাল ব্যাংক থেকে ৮০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কোনো কিস্তি না দেওয়ায় তা সুদে-আসলে ১৩৯ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালে নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড চেক প্রতারণার অভিযোগ এনে রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান হাবিব, পরিচালক ইয়াসিন আলী, মাশরুপ হাবিব ও তানভীর হাবিবের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় গত বছরের ৮ আগস্ট আদালত আলোচিত ৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি পরে। পরের মাসে এদের উপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন আদালত।
এদিকে চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উইলমিংটন ট্রাস্ট বিমান ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করায় রিজেন্ট টেক্সটাইলসসহ হাবিব গ্রুপের ১১ কোম্পানিকে অবসায়িত করে তার পাওনা দেওয়ার জন্য আবেদন করে।
প্রিমিয়াম নিয়ে পুঁজিবাজারে এসেছিল চট্টগ্রামের হাবিব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের ১৫ টাকা প্রিমিয়াম নিয়ে ২৫ টাকা দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করে।
কোম্পানির আর্থিক অবস্থা অনেক ভাল হলে এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য অনেক বেশি হলে অভিহিত মূল্যের সাথে বাড়তি দাম যোগ করে শেয়ার বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়। সাধারণভাবে ধরে নেওয়া হয়, প্রিমিয়ামে আসা কোম্পানির মৌলভিত্তি ভাল এবং কোম্পানিটি বিনীয়োগকারীদের আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দেবে। কিন্তু রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা তেমন কোনো লভ্যাংশ পাননি। বরং কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়া ও বিপুল ঋণের কারণে একের পর এক মামলার ফলে এর ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে, নানা সূত্রে জানা গেছে, রিজেন্ট টেক্সটাইলের পরিচালকরা বিপুল পরিমাণ অর্থ সরিয়ে নিয়ে বিদেশে সটকে পড়েছেন।
