কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার, সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে ওয়াশিংটনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই মত প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ম্যাথু মিলার বলেন, ওই আইন সংস্কার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে সরকারের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতিকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায়। ‘সমালোচনাকারীদের আটক, গ্রেপ্তার এবং তাদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য’ আইনটি ব্যবহার করা হচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, এই আইনটিতে যেন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিত করা হয় এবং সকল অংশীদারকে যেন নতুন খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন পর্যালোচনার সুযোগ দেয়া হয়, সে বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করি।
নতুন আইনটি যেন আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাথু মিলার বলেন, অংশীজনরা যেন ওই আইনের খসড়া পর্যালোচনা করতে পারে এবং মতামত দিতে পারে, সেই সুযোগ রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তারা।
সোমবার (৭ আগস্ট) বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে নতুন আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
আইনটি পরিবর্তনের বিষয়ে গতকাল আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ নামটি বদলে তার বদলে নতুন নাম হবে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধিকাংশ ধারা নতুন আইনেও থাকবে। তবে বিতর্কিত বিভিন্ন ধারায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
যেসব ধারা নিয়ে বেশি বিতর্ক সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি ক্ষেত্রে সাজা কমিয়ে আনা হবে। ‘জামিন অযোগ্য’ কয়েকটি ধারাকে করা হয়েছে ‘জামিন যোগ্য’। এছাড়া মানহানি মামলায় কারাদণ্ডের বিধান বাদ দিয়ে রাখা হবে শুধু জরিমানার বিধান। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে কমানো হবে সাজা।
আরও পড়ুন:
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী