আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আর্জেন্টিনায় ৬.৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর কম্পন পাশের দেশ চিলির ৬০০ কিমি এলাকা জুড়ে অনূভূত হয়। এ ভূমিকম্পে কেউ হতাহত হয়েছে কি না বা কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, স্থানীয় সময় রোববার (১৬ জুলাই) মধ্যরাতের পরপরই ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আর্জেন্টিনার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ নিউকুইনের লংকোপু শহরের কাছে, ভূপৃষ্ঠের ১৭১ দশমিক ৪ কিলোমিটার গভীরে।
এদিকে, জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেসের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। এর আগে রোববার (১৬ জুলাই) ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা উপদ্বীপ অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। ভূমিকম্পের পর ওই অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
আর্জেন্টিনায় প্রায়ই ভূমিকম্পের খবর শোনা যায়। এর আগে চলতি বছরের ২২ মার্চ ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটির স্যান অ্যান্টোনিও দে লস কব্রেস শহরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
এর আগে শনিবার (১৫ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা উপদ্বীপ অঞ্চলে ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের পর সেখানকার কিছু এলাকার জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। আলাস্কা ভূমিকম্প প্রবণ সক্রিয় প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারে অবস্থিত।
গবেষকদের মতে, বিশ্বে বছরে গড়ে ৬ হাজার ভূমিকম্প হয়। এগুলোর বেশিরভাগই মৃদু, যা আমরা টের পাই না। সাধারণত তিন ধরনের ভূমিকম্প হয়- প্রচণ্ড, মাঝারি ও মৃদু।
আবার উৎসের গভীরতা অনুসারে ভূমিকম্পকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- অগভীর, মধ্যবর্তী ও গভীর ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ভূ-পৃষ্ঠের ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে হলে অগভীর, ৭০ থেকে ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে হলে মধ্যবর্তী ও ৩০০ কিলোমিটারের নিচে হলে তাকে গভীর ভূমিকম্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সূত্র: সিজিটিএন