অনলাইন ডেস্ক : আবারও অশান্ত হয়ে উঠল নক্ষত্রমণ্ডলের অধিপতি। করোনাল ম্যাস ইজেকশন (CME) এবং সোলার ফ্লেয়ারের দাপটে সৌরঝড়ের রোষানলে পড়তে হতে পারে তিন গ্রহকে। যার মধ্যে পৃথিবীও রয়েছে। সৌর ঝড়ের সর্বোচ্চ সময়কাল ২০২৫ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাই পৃথিবীকে প্রতিদিনই কোনো না কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের উপর AR3341 নামক একটি সানস্পট সৌর শিখাকে ইন্ধন যোগায়। এটি ছিল এক্স-ক্লাস সোলার ফ্লেয়ার, যা অত্যন্ত শক্তিশালী। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার অনেক অঞ্চলে একটি অস্থায়ী শর্টওয়েভ রেডিও ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি করেছিল। Spaceweather.com এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই ঝড়ের জেরে ফের ব্যাহত হতে পারে ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রায় ৩০ মিনিট মতো সময় ধরে এর প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবী। এই ঝড়ের জেরে সবচেয়ে প্রভাবিত হবে শুক্রগ্রহ। পৃথিবী এবং মঙ্গলেও এর রেশ পড়বে।
সূর্যের চৌম্বকীয় শক্তি নির্গত হলে সৌর শিখা আলো এবং কণা দিয়ে তৈরি হয়। এই বিস্ফোরণগুলি আমাদের সৌরজগতে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী, বিলিয়ন হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য শক্তি নির্গত করে৷ এই শক্তির কণাগুলি আলোর গতিতে ছুটে বেড়ায়। এই ঝড়গুলো পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা মহাকাশচারীদেরও বিপদে ফেলতে পারে। নাসার সোলার ডাইনামিক্স অবজারভেটরি (এসডিও) গত কয়েক বছর ধরে সূর্যের উপর কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করছে। এটি সমস্ত প্রধান ইভেন্টের তথ্য প্রদান করে, বিজ্ঞানীদের তাদের প্রভাব বুঝতে সাহায্য করে।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বেশ কিছু বছরের মধ্যে এই সানস্পটের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। অর্থাৎ সোলার ম্যাক্সিমাম-এর দিকেই অনেকটাই পৌঁছে গিয়েছে সৌরমণ্ডলের এই সর্ববৃহৎ নক্ষত্র। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, আগামী ১৫ আগস্ট পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে আরও দুটি সৌরঝড়।
সূত্র-জিনিউজ।