October 7, 2024 - 11:20 pm
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeআইন-আদালতডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের জেল

ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের জেল

spot_img

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুদকের করা মামলায় ডিআইজি মিজানুর রহমানের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মিজানের ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান, স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানের ৭ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

বুধবার (২১ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিন রায় ঘোষণার সময় মিজানকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এ ছাড়া জামিনে থাকা ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান আদালতে হাজির হন। এই তিনজনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আর মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান পলাতক।

গত ৫ জুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষ হওয়ার পর রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।

মামলার আসামিদের মধ্যে মিজানুর রহমান ও তার ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানকে কারাগার রয়েছেন। অপর দুই আসামি মিজানের তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক রয়েছেন।

২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ করা হয়।

মামলার পর আত্মগোপনে থাকা ডিআইজি মিজান ২০১৯ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। গত ২ জুলাই আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঘুষ লেনদেনের মামলায় মিজানুর রহমানের ৩ বছর এবং দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের ৮ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেয় আদালত।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন মিজানুর রহমান। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়।

দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুস লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসার পর ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই বছরের ২৫ জুন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ