তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক : সৌরমণ্ডলে পৃথিবীর নিকটবর্তী গ্রহ এটি। তবে এখনও এই গ্রহ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছেই। লালগ্রহের মাটিতে যে এখনও কত বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে তা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও প্রকাশ্যে আসছে।
সম্প্রতি মঙ্গলগ্রহে একটি আগ্নেয়গিরি আবিষ্কার করেছে মার্স রোভার। অত্যাশ্চর্যর বিষয় হল এই আগ্নেয়গিরির উচ্চতা ও বিস্তার পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের থেকে অনেক বেশি। মঙ্গলে আগ্নেয়গিরির সংখ্যা নেহাত কম নয়৷ সেখানে যে প্রতিনিয়তই অগ্ন্যুৎপাত হত তা মাটি পরীক্ষা করেই জানতে পেরেছে নাসা।
আর এই বিশালাকায় পর্বত সমান আগ্নেয়গিরির খোঁজ পেয়ে তাই মহাকাশবিজ্ঞানী মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই আগ্নেয়গিরির খোঁজ পেয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। যদিও তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে এটি মঙ্গলের সর্বোচ্চ নয়, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি। এর নাম Ascraeus Mons. উচ্চ পর্যায়ের ক্যামেরা দিয়ে লালগ্রহের এই ভলক্যানোর ছবিটি তুলতে পেরেছে ESA। এই আগ্নেয়গিরিটি ১৮ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে রয়েছে। যদিও এর ঢাল খুব চড়া নয়। সাত ডিগ্রি অবস্থান করে ঢাল নেমেছে ওপর থেকে নিচে।
মঙ্গলের থারসিস এলাকার উত্তরে যে তিনটি আগ্নেয়গিরি রয়েছে তার মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ। উচ্চতার পাশাপাশি আয়তনে ৪৮০ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে। পৃথিবীর রোমানিয়া যতটা বৃহৎ এই ভলক্যানোটিও ততটা এলাকা জুড়ে রয়েছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তরফে জানান হয়েছে, এই স্ট্রাকচারটি কীভাবে তৈরি হয়েছে তা এখনও অজানা৷ তবে লাভা, ছাই আর জল দিয়েই এতবড় আকারের ভলকানোর গঠন সম্ভব, এমনটাই জানান হয়েছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির পাঠানো মার্স এক্সপ্রেস ২০০৩ থেকেই মঙ্গলগ্রহের ওপরে নজর রেখে চলেছে। ভূমিতে কী পরিবর্তন হচ্ছে, কিংবা মঙ্গলের আবহাওয়ায় কতটা বদল হচ্ছে সে বিষয়ে নজর রাখছে এই যানটি।
অ্যাসক্রেয়াস মনসের থেকে বেশি উচ্চতা একমাত্র অলিম্পাস মনসের। অলিম্পাস মনস কেবল মঙ্গল গ্রহেরই নয়, পুরো সৌরজগতের সবথেকে উঁচু আগ্নেয়গিরি। এসা তাদের পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানিয়েছে। এসা টেলিস্কোপে তুলে আনা ছবি পর্যবেক্ষণ করে গবেষণায় এই সিদ্ধান্ত পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলে সম্প্রতি উত্তাল নদীর প্রমাণ পেয়েছে নাসার পারসিভারেন্স মার্স রোভার। নাসার পারসিভারেন্স মার্স রোভার চাঁদের এমন সব ছবি তুলে ধরেছে যেখানে রয়েছে অকাট্য প্রমাণ। সূত্র-জিনিউজ।