নিজস্ব প্রতিবেদক : কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে মেডিটেশনের অন্তর্ভুক্তি : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এ আহ্বান জানান চিকিৎসকরা। (শুক্রবার (১২ মে)
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কথাসাহিত্যিক ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান। আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, বিএসএমএমইউ-এর ফ্যাকাল্টি অব বেসিক সায়েন্স অ্যান্ড প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স-এর সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান, বিএসএমএমইউ-এর প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ।
সেমিনারে ডা. শাহলা খাতুন বলেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা মানুষের দেহ ও মনকে ভুলে কেবল রোগ নিরাময়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি মনেরও চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসাশাস্ত্র প্রতিনিয়ত আধুনিক হচ্ছে। মেডিটেশনের মাধ্যমে ভালো চিন্তা জিনকেও বদলে দিতে পারে।
ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, মেডিটেশন চর্চায় স্বাস্থ্য ব্যয় সাশ্রয় হয়, যা জাতীয় স্বাস্থ্য অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমি মনে করি, মেডিটেশনকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারলে স্বাস্থ্যখাতে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। মেডিটেশনকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
বক্তারা বলেন, রোগ নিরাময়, প্রতিরোধ ও প্রশমনে মেডিটেশনের ভূমিকা এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রমাণিত। সারা পৃথিবীতে এটি স্বাস্থ্যসেবারই অংশ। বিজ্ঞানীদের মতে, মেডিটেশন হচ্ছে মস্তিষ্কের ব্যায়াম। দৌঁড়ালে যেমন পায়ের পেশী শক্তিশালী হয়, সাঁতার কাটলে বাইসেপ শক্তিশালী হয়; তেমনি নিয়মিত মেডিটেশন করলে মস্তিষ্কের কর্ম কাঠামো সুবিন্যস্ত, সুসংহত, গতিময় ও প্রাণবন্ত হয়। পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য প্রয়োজন শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক-এ চার ক্ষেত্রেরই সুস্থতা। অর্থাৎ টোটাল ফিটনেস। এক্ষেত্রে যোগ-মেডিটেশন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মতামত দেন বক্তারা।