স্বাস্থ্য ডেস্ক : লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রোটিন তৈরি থেকে শুরু করে, কার্বোহাইড্রেট জমিয়ে রাখা, শরীরে তৈরি হওয়া ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করার মতো নানান গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে এই অঙ্গটি। তাই এই লিভারের খেয়াল রাখা উচিত। লিভারের একটি বিশেষ রোগ হল ফ্যাটি লিভার। সহজ ভাবে বললে, লিভারের ভেতরে ফ্যাট জমলে তাকে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলা হয়।
ফ্যাটি লিভার ডিজিজের মূলত দুটি ভাগ- অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, যা মদ্যপানের কারণে লিভারে ফ্যাট জমলে হতে পারে। আর অপরদিকে মদ্যপান না করেই যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দেয় তাকে বলা হয় নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। বরং এই নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণ হল জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। যা থেকে লিভার সিরেসিসের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। তবে এই অসুখের লক্ষণ প্রথমেই চিহ্নিত করতে পারলে এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করা সম্ভব।
তাই জেনে নেওয়া যাক এই রোগের কয়েকটি উপসর্গ যা চিনতে পারলে সাবধান হতে হবে…
১. মুখ ফুলে যাওয়া
লিভারের চর্বি জমতে শুরু করা মানেই মেটাবলিজমের উপর প্রভাব পড়া। এমনটি হলে তার ছাপ পড়ে মুখে। মুখ ফুলে যাওয়া থেকে শুরু করে মুখে ফুসকুড়ি, মুখের ত্বক লাল হয়ে যাওয়া এবং চুলকানি ফ্যাটি লিভারের কিছু লক্ষণ।
২. বমি হওয়া
খিদে না হওয়া, গগয়ের রং হলুদ হয়ে যাওয়া এবং বমি বমি ভাব হলেও বুঝে নিতে হবে যে এগুলি ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ। অতএব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন।
৩. পেটে ব্যাথা
ঘাড়ের নীচের দিকের অংশ কালচে হয়ে যাওয়া, পা ও শরীরের অন্যান্য অংশে পানি জমা ইত্য়াদিও এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।
৪. দুর্বলতা
এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পরে। পাশাপাশি ওজনও কমতে শুরু করে দ্রুত। বিভিন্ন টেস্ট যেমন- আলট্রা সাউন্ড, এনজাইম টেস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে। তাই দুশিন্তার কোনও কারণ নেই।
তবে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি
১. মদ্যপান না করা
২. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
৩. নিয়মিত ব্যায়াম
৪. শাক সবজি বেশি করে খাওয়া
৫. ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা
সূত্র-জিনিউজ।
আরও পড়ুন:
আম খাওয়ার আগে কতক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন?