October 9, 2024 - 4:24 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeস্বাস্থ্য-লাইফস্টাইলবাজারে আসবে ক্যান্সারের ভ্যাকসিন

বাজারে আসবে ক্যান্সারের ভ্যাকসিন

spot_img

স্বাস্থ্য-লাইফস্টাইল ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম মডার্নার একদল গবেষক হার্টের রোগ এবং অটোইমিউনের কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন। যা বাঁচাবে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। গবেষকরা জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই তাদের ভ্যাকসিন মানুষের দেহে প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এ ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত বেশ ভালো সাফল্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। কয়েকজন গবেষক বলছেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এ নিয়ে কাজ করছেন তারা। কিন্তু তারা সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছেন ১২-১৮ মাসে মধ্যে। কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করার সময় এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজে গতিশীলতা আসে।

মডার্নার প্রধান মেডিকেল অফিসার ডাক্তার পল বার্টন বলেছেন, তাদের আশা, আগামী ৫ বছরের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিনের মতো ‘সব ধরনের রোগের চিকিৎসা’ মানুষকে তারা দিতে পারবেন। মডার্না ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।

ডাক্তার পল বার্টন বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এ ভ্যাকসিন থাকবে এবং এটি খুবই কার্যকরী হবে। ভ্যাকসিনটি কয়েক কোটি মানষের জীবন রক্ষা না করলেও কয়েক লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করবে। আমরা মনে করি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরনের বিশেষ ভ্যাকসিন দিতে পারব আমরা।’

এছাড়া তিনি বলেছেন, মাত্র একটি ভ্যাকসিনের মাধ্যমেই শ্বাসতন্ত্রের একাধিক রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে। এরমাধ্যমে দুর্বল মানুষ করোনা, ফ্লু এবং শ্বাসতন্ত্রের সিনসিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) থেকে রক্ষা পাবেন। অপরদিকে যেসব বিরল রোগের কোনো ওষুধ এখনো বের হয়নি সেগুলোতে এম-আরএনএ থেরাপি ব্যবহার করা যাবে। এম-আরএনএ থেরাপি শরীরের কোষগুলোকে জানান দেয় কীভাবে প্রোটিন তৈরি করা হয়। যেটি শরীরে ইমিউন সিস্টেমকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সচল করে।

ডাক্তার বার্টন বলেছেন, ‘আমি মনে করি যেসব রোগের ওষুধ এখনো তৈরি হয়নি, সেসব রোগ সারিয়ে তুলতে আমাদের কাছে এম-আরএনএ ভিত্তিক থেরাপি থাকবে। আমি মনে করি এখন থেকে ১০ বছর পর, আমরা এমন একটি অবস্থানে পৌঁছাব, যে সময় সত্যিকার অর্থে রোগের জেনেটিক কারণ খুঁজে বের করতে পারব এবং এম-আরএনএ ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেটি সারিয়ে তুলতে পারব।’

তবে বর্তমানে যে গতিতে এ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে, এটি যদি ধরে রাখতে হয় তাহলে বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। যদি পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না পাওয়া যায় তাহলে পুরো বিষয়টিই বৃথা যাবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ