স্বাস্থ্য ডেস্ক : এখন মশার কামড় রীতিমতো মরণ কামড় হয়ে উঠেছে। দিকে দিকে মশার কামড়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা বা মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে যাওয়ার সংবাদ আমাদের ভীত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা অনেকেই খেয়াল করেছি, একটি ঘরে যদি অনেকজন থাকেন, তবে মশা বেছে বেছে বিশেষ কয়েকজনকেই কামড়ায় কেন?
বিজ্ঞানীরা তার কারণ অনুসন্ধান করেছেন এবং তা জেনে এর একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তাঁরা দেখেছেন, কারও কারও শরীর থেকে একটা বিশেষ গন্ধ পায় মশা। আর বেছে বেছে তাদেরই কামড়ায়। কামড়ায় মানে, তাদের ত্বকে হুল ফুটিয়ে বসে তাদের রক্ত পান করে।
কিন্তু প্রকৃত কারণটা কী?
কারও কারও ত্বক থেকে যে-ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড নির্গত হয়, তা বাতাসে একটি বিশেষ ধরনের গন্ধ ছড়ায় এবং মশাদের প্রকারান্তরে আকর্ষণ করে। কেন মশারা সেই গন্ধে ছোটে? বিশ্লেষণ করে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা, কারও কারও ত্বক থেকে যে-ফ্যাটি অ্যাসিড নির্গত হয়, তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কার্বক্সিলিক অ্যাসিড থাকে। সেটাই মশাদের ডেকে আনে। রকফেলারস ল্যাবরেটরি অফ নিউরোজেনেটিকস অ্যান্ড বিহেভিয়র-এর লেসলি ভসহাল এই ব্যাখ্যাটা দিয়েছেন। তিন বছর ধরে এই গবেষণাটা চালিয়েছেন তিনি।
তা হলে আর কী? খামখা আর ‘মশারা কেন আমাকেই এত কামড়ায়’ বলে দুঃখ করবেন না। বরং খোঁজ নিয়ে দেখুন আপনার শরীরই এক্ষেত্রে শত্রু কিনা। আপনার ত্বক কী ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিডের নির্গমন ঘটায়, তার গন্ধই কি আপনার দিকে মশাদের টানে– এগুলো জানবার চেষ্টা করুন। মশা থেকে এখন নানা ভয়ংকর রোগ ছড়ায়। জিকা, ডেঙ্গু, ইয়েলো ফিভার, চিকুনগুনিয়া– নানা ধরনের জটিল বিচিত্র সব রোগ। ফলে মশার হাত থেকে বাঁচতেই হবে।
কার্বক্সিলিক অ্যাসিড হল গ্রিজি মলিকিউলস। এ হল ত্বকের ন্যাচারাল ময়েশ্চাইজার। আমাদের ত্বকে কিছু উপকারী ব্য়াকটেরিয়া থাকে যারা এটা খায় আর তার ফলে ওই বিশেষ গন্ধটা বেরোয়।