তিমির বনিক, ষ্টাফ রিপোর্টার: চায়ের রাজধানী খ্যাত সুপরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ও আগাম বৃষ্টিপাত হওয়ায় চা শিল্পে বহিছে আনন্দের সুবাতাস।গত তিনদিন ধরে সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে।আগাম বৃষ্টিপাত হওয়ায় চা বাগানগুলোতে শুরু হয়েছে চা উৎপাদনের জন্য উত্তোলন।এ বছর প্রায় ২০দিন আগে থেকেই বিভিন্ন চা বাগানে শুরু হয়েছে পাতা চয়ন।এ ধারা অব্যাহত থাকলে গত বছরের ন্যায় এ বছরে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা টপকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চা সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা।প্রতিবছর মার্চের শেষ দিকে নিজস্ব সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন চা বাগানে উৎপাদন শুরু করা হলেও এ বছর প্রাকৃতিক ভাবে বৃষ্টিপাতের জন্য মৌলভীবাজারের বিভিন্ন চা বাগানে শুরু হয়েছে চায়ের উৎপাদন পাশাপাশি শ্রমিকদের মধ্যে ও বহিছে আনন্দের ঘনঘটা।আগাম বৃষ্টিপাতে চলতি মৌসুমে কাঙ্খিত চায়ের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে চা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের অভিমতে প্রকাশ করেন।ট্রিপিং (আগাছাঁটাই) করলে চা গাছে দ্রুত নতুন কুঁড়ি গজাতে শুরু কর।
এই বৃষ্টিপাতের কারণে চা সংশ্লিষ্টরা মহাখুশি।শ্রীমঙ্গলে গত (১৯ মার্চ) রোববার সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত তিন দফায় ১৯.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, এবারের বছর চা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ১০২ মিলিয়ন কেজির বেশি ধরা হয়েছে। যা গতবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০০ মিলিয়ন কেজি। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ বাগানের কৃত্রিম সেচ সুবিধার অভাব রয়েছে। সিলেটের চা বাগানগুলোর সবকটিই পাহাড়ি ভ’মিতে, ফলে বাগানের জমিতে গভীর নলকুপ স্থাপন করাও সম্ভব হয় না।ফলে চা উৎপাদের জন্য এই সময়টাতে বৃষ্টি খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। চলতি মৌসুমে কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত চায়ের জন্য সুফল বয়ে আনবে। চলতি বছরে এই মৌসুমে চা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ১০২ মিলিয়ন কেজির বেশি ধরা হয়েছে।
মার্চের এই বৃষ্টিপাত আমাদের চা সংশ্লিষ্টদের কাছে আশির্বাদ স্বরূপ বার্তা পৌঁছে গেছে। ট্রিপিং এর কাজটি হবে যথাযথ। ফলে চায়ের গুণগত মানও অক্ষুন্ন থাকবে। কাঙ্খিত ধারায় বৃষ্টিপাত হলে চা উৎপাদনে এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আমি আশাবাদী।চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর; জেনারেল আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ বছর বৃষ্টির ধারাবাহিকতায় ৪ দিন হযেছে। যা তাদের খুবই উপকারী ঔষধের মত কাজ করেছে।বৃষ্টির জন্য এখন চা গাছে দ্রুত নতুন নতুন কুঁড়ি সবুজের সমারোহ চলে আসবে, ট্রিপিং দ্রুত হবে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে লক্ষ্য মাত্রার ওপরেও চা উৎপাদন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্যমাত্রা আগামি ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে।যা দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন আরেকটি দাফের উন্মোচন হবে।