স্বাস্থ্য ডেস্ক : দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা এবং সঙ্গে গ্রীষ্মের তাপদাহ, স্বাভাবিকভাবেই আমাদের এই রোজায় খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে বিশেষ সতর্ক হওয়া উচিত। এই রোজায় সুস্থ থাকতে ইফতার ও সেহরিতে চাই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার।
ইফতার ও সেহরির জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার কেমন হবে, আসুন জানি এ বিষয়ে।
ইফতার:
তীব্র গরমে সারা দিন ঘাম হওয়ার কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়, সঙ্গে প্রস্রাব নির্গমন তো আছেই। তাই ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
শরবত আমাদের ইফতারের প্রতিদিনের পানীয়। খেয়াল রাখতে হবে শরবতে যেন চিনি কম হয়। বাইরের শরবত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
খেজুর ইফতারে অত্যাবশ্যকীয় হওয়া উচিত। কারণ, এটি দ্রুত শরীরে শক্তি জোগায়। ভাজাপোড়ার বদলে স্যুপ, দইচিড়া ইত্যাদি খাওয়া ভালো।
ইফতারে মৌসুমি ফল খাওয়া উচিত। এই গরমে যে ফলে পানির পরিমাণ বেশি, যেমন—তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস ইত্যাদি বেশি খাওয়া উচিত। ফলের জুস, মিল্ক শেক ইত্যাদিও তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে।
কোনোভাবেই বাইরের তৈলাক্ত খাবার ইফতারে খাওয়া উচিত নয়। ইফতারে খুব বেশি ভারি খাবার খেলে রাতের খাবার খাওয়ায় অনীহা তৈরি হতে পারে।
রাতের খাবারে ভাত, মাছ, ডাল, সবজি, ডিম, মুরগির মাংস ইত্যাদি খেতে পারেন। সঙ্গে সালাদ থাকলে ভালো।
সেহরি:
সেহরিতে খেয়াল রাখা উচিত এমনসব খাবারের দিকে, যেগুলো হজম হতে বেশি সময় লাগে। ভাত, ডাল, সবজি, লাল আটার রুটি, মাছ, ডিম, দুধ ইত্যাদি খেতে পারেন। সারা দিন খাওয়া যাবে না ভেবে সেহরিতে খুব বেশি খাওয়া উচিত নয়। এতে হজমে সমস্যা হতে পারে এবং সারা দিন অস্বস্তি লাগতে পারে।
আবার অনেকে একবারে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন এবং সেহরি না খেয়ে রোজা রাখেন। এটাও উচিত নয়। এতে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত এ পুরো সময়ে চা, কফি, কোল্ডড্রিংক না খাওয়াই উত্তম।
গর্ভবতী মা, ডায়াবেটিস রোগী, কিডনি রোগীসহ যাদের বিভিন্ন রোগ রয়েছে, তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখা উচিত।
সঠিক নিয়ম মেনে এই রোজায় সবাই সুস্থ থাকুন।
আরও পড়ুন:
রোজায় এসিডিটি দূর করবেন যেভাবে