অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের আরও পতন ঘটেছে। বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং সংকট বাড়ছে। কর্তৃপক্ষ নানা পদক্ষেপ নিয়েও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। এতে নিরাপদ আশ্রয় ডলারে বিনিয়োগ কমিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে মার্কিন মুদ্রার দর আরও হ্রাস পেয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, সোমবার (২০ মার্চ) ডলার সূচক নিম্নমুখী হয়েছে ০.২৪ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০৩.৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এর আগে যা ছিল ১০৩.৪৩ পয়েন্ট। গত ১৫ ফেব্রুয়ারির পর যেটা সর্বনিম্ন।
বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়াতে সপ্তাহজুড়ে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক, ব্যাংক অব কানাডা এবং ব্যাংক অব জাপান।
ইতোমধ্যে ধুঁকতে থাকা ক্রেডিট সুইস কিনে নিয়েছে সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইউবিএস। এক্ষেত্রে নাজুক ব্যাংকগুলোকে ব্যাপক ছাড় দিতে হয়েছে। পাশাপাশি অনেক ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ফলে আর্থিক খাতে সমস্যা সহসা কাটছে না।
জাপানের মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মান কমেছে ০.৫১ শতাংশ। প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১৩১. ১৪ ইয়েনে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মুদ্রা ইউরোর মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৩৩ শতাংশ। এক ইউরো বিকিয়েছে ১.০৭০১ ডলারে।
ব্রিটেনের মুদ্রা স্টার্লিং ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ০.৩৪ শতাংশ। প্রতিটির মূল্য স্থির হয়েছে ১.২২১৬ ডলারে।
আজ, বুধবার বৈঠকে বসবেন ইউএস কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। ব্যাংকিং সংকটের মধ্যেও সেখানে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বাড়ানো হতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।