Corporate Sangbad | Online Bangla NewsPaper
জানা অজানা

জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন

একটি স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক বলা হয় জাতীয় পতাকাকে। এই পতাকা দেশ তথা রাষ্ট্রের পরিচয় বহন করে। আমাদের দেশের পরাধীনতার আবরণ থেকে বের হয়ে স্বাধীনতার সোনালি অক্ষরে নাম লিখানোর একটি অর্জন হচ্ছে জাতীয় পতাকা। সবুজের বুকে লাল রঙা এই পতাকাটির সঙ্গে মিশে আছে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত।

জাতীয় পতাকা যেন আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক তেমনি এটির ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানা আমাদের সবার উচিত। এই পতাকাকে উত্তোলন কিংবা এর সঠিকভাবে সঠিক মাপে তৈরি করাও প্রয়োজন। পতাকার মান অক্ষুণ্ণ রাখা সব নাগরিকের দায়িত্ব।

বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় দিবসসমূহের মধ্যে অন্যতম। এদিন সারাদেশ ছেয়ে যায় লাল-সবুজের সাজে। বাড়ির ছাদে, দোকানে, রাস্তার পাশে, গাড়ির সামনে, এমনকি রিকশার সামনের ডান হ্যান্ডেলে পতপত করে ওড়ে লাল-সবুজ রঙের জাতীয় পতাকা।

বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্বের প্রতীক সবুজের বুকে লাল পতাকা। তবে এ পতাকাকে উত্তোলন কিংবা এর সঠিকভাবে সঠিক মাপে তৈরি করাও প্রয়োজন। অনেকেই সচেতন না হওয়ায় জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়ে যায়। তাই জাতীয় পতাকার ব্যাপারে সবার সচেতন হওয়া একান্ত দরকার।

আসুন জেনে নিই জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ এবং ব্যবহারের নিয়ম—

১. বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার গাঢ় সবুজ বর্ণের আয়তক্ষেত্রের মাঝখানে একটা ভরাট রক্তিম বৃত্ত নিয়ে এটা তৈরি। এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০:৬। পতাকার মাঝখানের লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ হবে পতাকার দৈর্ঘ্যরে ৫ ভাগের একভাগ।

২. পতাকা টানানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে এটি এমন জায়গায় টানানো না হয় যাতে এর মান অক্ষুণ্ণ হয়।

৩. পতাকা দিয়ে মোটরযান, রেলগাড়ি অথবা নৌযানের খোল, সম্মুখভাগ অথবা পেছনের অংশ কোনো অবস্থাতেই ঢেকে দেয়া যাবে না।

৪. যেসব ক্ষেত্রে কেবলমাত্র দুটি পতাকা অথবা রঙিন পতাকা উত্তোলন করা হয়, সেক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ ভবনের ডানদিকে উত্তোলন করতে হবে।

৫. বাংলাদেশের পতাকা’র উপরে অন্য কোনো পতাকা বা রঙিন পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।

৬. যে ক্ষেত্রে অন্য কোনো দেশের সহিত ‘বাংলাদেশের পতাকা’ একত্রে উত্তোলন করা হয়, সেক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ প্রথমে উত্তোলন করতে হবে এবং নামানোর সময় সবশেষে নামাতে হবে।

৭. যে ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ অর্ধনমিত থাকে, সেক্ষেত্রে প্রথমে সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করা হবে এবং অতঃপর নামিয়ে অর্ধনমিত অবস্থায় আনা হবে। ওই দিবসে পতাকা নামানোর সময় পুনরায় উপরিভাগ পর্যন্ত উত্তোলন করা হবে, অতঃপর নামাতে হবে।

৮. ‘পতাকা’ কোনো ব্যক্তি বা জড় বস্তুর দিকে নিম্নমুখী করা যাবে না।

৯. পতাকা’ কখনই তার নিচের কোনো বস্তু যেমন- পানি বা কোনো পণ্যদ্রব্য স্পর্শ করবে না।

১০. ‘পতাকা’ কখনই আনুভূমিকভাবে বা সমতলে বহন করা যাবে না, সর্বদাই ঊর্ধ্বে এবং মুক্তভাবে থাকবে।

১১. পতাকাকে কখনও পদদলিত করা যাবে না।

১২. কোনো কিছু গ্রহণ, ধারণ, বহন বা বিলি করার জন্য ‘পতাকা’ ব্যবহার করা যাবে না।

১৩. ‘পতাকা’ দ্রুত উত্তোলন করতে হবে এবং সসম্মানের সঙ্গে নামাতে হবে।

১৪. পতাকার অবস্থা যদি এমন হয় যে, তা আর ব্যবহার করা যাবে না, নষ্ট হয়ে গেছে, সেক্ষেত্রে তা মর্যাদাপূর্ণভাবে, বিশেষ করে সমাধিস্থ করে নিষ্পত্তি করতে হবে।

আরো খবর »

মহাকাশে নভোচারীরা কী খায়, কীভাবে খায়

উজ্জ্বল হোসাইন

৪৫০০ বছর আগের পিরামিডে গোপন করিডোরের সন্ধান

Tanvina

৮০০ বছরের পুরোনো মমি উদ্ধার

Tanvina