তিমির বনিক, ষ্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের পাহাড় টিলার আম বাগানগুলোতে মুকুলে মুকুলে ভরে উঠছে গাছ।গেল কয়েক বছরের তুলনায় এবার মুকুল এসেছে সবচেয়ে বেশি। এ বছর বাম্পার ফলনে আশায় রয়েছে কৃষি বিভাগও।
জেলা কৃষি অফিসের বরাতে দেয়া তথ্যমতে, জেলায় দুই হাজার ২২২৩ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ থাকলেও উৎপাদন ধরা হয়েছে ২৯ হাজার টন।
সরেজমিনে ঘুরে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড় টিলায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা ১৯৪টি বাগানজুড়ে মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ আর ভোমরার উপস্থিতিতে এক অন্য রকম পরিবেশ বিরাজ করছে।পরিবেশ অনুকূল থাকায় গাছে গাছে হালকা আমের মুকুল আসতে শুরু করে। তবে ফাল্গুনের আগাম বৃষ্টিপাত বাগানে মুকুলের পরিমাণ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় জাতের পাশাপাশি আম্রপালি, হাড়িভাঙ্গা, লেংরা, ফজলি ও অমৃত সাগর এ কয়েক প্রজাতির আম বেশি পরিমাণ এ অঞ্চলে পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়ে আসছে আম্রপালি আম।
জেলার সাত উপজেলায় এসব আমের চাষ হলেও মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার পাহাড়ি ও সমতল জমিতে আম বাগানের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।এরইমধ্যে অনেক বাগানে মুকুল থেকে আমের গুটি ধরতে শুরু করছে। আর চাষিরা গাছে গাছে পানি সেচ ও রোগবালাই দমনে ওষুধ স্প্রেসহ পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন। আমের বাম্পার ফলনের আশাবাদী তারা।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ত্রৈলক্ষ বিজয় গ্রামের আম চাষি আব্দুল কাইয়ূমসহ একাধিক বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা হয়।
চাষি আব্দুল কাইয়ূম জানান, তার বাগানে কয়েক প্রজাতির আম থাকলেও আম্রপালি জাতের গাছ রয়েছে বেশি। গেল বছর তিনি অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় দেড় লাখ টাকার আম বিক্রি করেন। এ বছর গাছের পরিমাণ বাড়তি থাকায় আড়াই-তিন লাখ টাকার আম বিক্রির সম্ভাবনার কথা জানান।
তবে এবার জেলায় কম করে হলেও ১২ কোটি টাকার ব্যবসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ।
চাষিদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে ১০-১২ দিন পর পর কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেন তিনি।