April 6, 2025 - 8:36 pm
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeকর্পোরেট ভয়েসউজ্জ্বল ব্র্যান্ড হওয়াটাই ঢাকা ব্যাংকের বড় অর্জন: সৈয়দ মাহবুবুর রহমান

উজ্জ্বল ব্র্যান্ড হওয়াটাই ঢাকা ব্যাংকের বড় অর্জন: সৈয়দ মাহবুবুর রহমান

spot_img

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । আগে ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি। চলতি বছরের শুরু থেকে এবিবি চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও আছেন। ঢাকা ব্যাংক, এবিবি ও ব্যাংকিং খাতের গতিপথ নিয়ে কথা বলেন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাথে। 

প্রশ্ন: ২৪ বছরে পদার্পণ করেছে ঢাকা ব্যাংক। দীর্ঘ এ পথচলায় ব্যাংকটির সবচেয়ে বড় অর্জন কী?

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: ১৯৯৫ সালের ৫ জুলাই ঢাকা ব্যাংক যাত্রা করেছিল। দীর্ঘ পথচলার এ সময় ঢাকা ব্যাংক নিজেকে একটি উজ্জ্বল ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করাতে পেরেছে। গ্রাহকসেবায় আমাদের ব্যাংক অনন্যদৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সব বিধিবিধান মেনে চলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। ফলে ব্যাংকের অভ্যন্তরে কার্যকর সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুরু থেকেই ঢাকা ব্যাংক একটি আদর্শ পরিচলনা পর্ষদ পেয়েছে। পর্ষদ চায়, ঢাকা ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের আদর্শ হোক। এছাড়া কর্মীরাও ব্যাংকের প্রত্যেকটি কর্মকাণ্ডে নিজ নিজ দৃষ্টান্ত রাখছে। এজন্য ঢাকা ব্যাংকের বিষয়ে বাজারে কোনো বদনাম নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণেও এখন পর্যন্ত এ ব্যাংকের বড় কোনো ত্রুটির কথা শোনা যায়নি। ২৩ বছরের পথচলায় উজ্জ্বল ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করাতে পারাটাই ঢাকা ব্যাংকের বড় অর্জন।

প্রশ্ন: প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা ব্যাংক কতটুকু সম্প্রসারিত হয়েছে?

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: এটি ঠিক, সমসাময়িক অনেক ব্যাংকের তুলনায় ব্যালান্সশিটের আকারের দিক থেকে ঢাকা ব্যাংক কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। পথচলায় আমাদের গতি কিছুটা ধীর। ঢাকা ব্যাংক জেনে-বুঝে সতর্কতার সঙ্গে সামনে এগোচ্ছে। এজন্য আমাদের শাখার সংখ্যা কিংবা ঋণ ও আমানতের পরিমাণ সমসাময়িক দুয়েকটি ব্যাংকের তুলনায় কিছুটা কম। তবে গত ২৩ বছরে ঢাকা ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে শক্ত ভিত তৈরি করতে পেরেছে। আমরা রাতারাতি চমক সৃষ্টি করে হারিয়ে যেতে চাই না। ঢাকা ব্যাংক যুগ-যুগান্তর পাড়ি দিতে চায়। মার্চ পর্যন্ত আমাদের ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭২২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এ সময় ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা। ঢাকা ব্যাংকের কাছে আমানতকারীদের ১৭ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা জমা আছে। এর মধ্যে আমরা ১৬ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ঢাকা ব্যাংক আড়াইশ কোটি টাকার বেশি পরিচালন মুনাফা করেছে। ব্যালান্সশিট সাইজের তুলনায় ঢাকা ব্যাংকের এ মুনাফা সমসাময়িক অনেক ব্যাংকের তুলনায় বেশি।

প্রশ্ন: বয়সের তুলনায় ঢাকা ব্যাংকের ব্যাপ্তি কম বলেই মনে হয়। ব্যাংকের কার্যক্রম সম্প্রসারণে নতুন কোনো উদ্যোগ আছে কি?

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: দুটি ইসলামী ব্যাংকিং শাখাসহ এখন পর্যন্ত ঢাকা ব্যাংকের শাখা সংখ্যা ১০০। এসব শাখার পাশাপাশি তিনটি এসএমই সেন্টার ও ৫৬টি এটিএম বুথ, ২০টি এডিএম ও দুটি অফশোর ইউনিট নিয়ে ঢাকা ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কলেবর বৃদ্ধির জন্য শাখা সংখ্যা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। এ বছর আমরা একটি শাখা খুলেছি, বছরের বাকি সময় আরো একটি শাখা খুলব। বর্তমান প্রেক্ষাপটে শাখা খুললে লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি। পরিধি বৃদ্ধির জন্য আমরা এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে অনুমোদন চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন জানানো হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং সম্প্রসারণের মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছতে চায়। এসএমই ঋণের সম্প্রসারণের পাশাপাশি আমরা আরো ছোট গ্রাহকদের ঋণ দেয়ার একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। এক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন: ২০১৫ সালের শেষের দিকে আপনি ঢাকা ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। প্রায় তিন বছর ধরে দায়িত্ব পালনকালে আপনার তৃপ্তি বা অতৃপ্তিগুলো কী?

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: প্রযুক্তির আধুনিকায়নে বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং সেবায় ডিজিটালাইজেশনের জোয়ার চলছে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাও এর ব্যতিক্রম নয়। দায়িত্ব পালনের এ সময় ঢাকা ব্যাংককে প্রযুক্তিগত দিক থেকে সমৃদ্ধ করতে পেরেছি। গ্রাহকদের সর্বাধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিতে পারাটা আমার জন্য তৃপ্তির। আমরা গ্রাহকদের জন্য ‘ঢাকা ব্যাংক গো’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছি। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, এ অ্যাপটি এখন পর্যন্ত বাজারের সেরা। গ্রাহকরা ঘরে বসেই সব ধরনের লেনদেন করতে পারছেন। সম্প্রতি ‘বিকাশ’-এর সঙ্গে আমরা একটি চুক্তি করেছি। ঢাকা ব্যাংকের গ্রাহকরা ২৪ ঘণ্টা ঘরে বসে অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনো বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে পারছেন। এজন্য গ্রাহককে কোনো ফি দিতে হচ্ছে না।

চেকের ব্যবহার ছাড়াই ঢাকা ব্যাংকের গ্রাহকরা ঘরে বসে যে কোনো পেমেন্ট দিতে পারছেন। এজন্য ‘ঢাকা ব্যাংক সি-সলিউশন’ চালু করা হয়েছে। গ্রাহককে কোনো চেক ইস্যু করতে হচ্ছে না। ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে কোনো পেমেন্টের অর্ডার দিলেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে দিচ্ছি। এছাড়া গ্রাহকদের জন্য ‘ঢাকা ব্যাংক ট্রেডক্লুড’, ‘ঢাকা ব্যাংক বিলস-টু-ক্যাশ’, প্রিপেইড কার্ড, ‘ঢাকা ব্যাংক টিউশন ফি সলিউশন’ নামে অনলাইন সেবা চালু করেছি। ঢাকা ব্যাংকের গ্রাহকদের সময় নষ্ট করে শাখায় আসতে হবে না। ঘরে কিংবা নিজের অফিসে বসেই সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রযুক্তি সম্পৃক্ত সব লেনদেনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্বের সর্বাধুনিক ওরাকল সুপার ক্লাস্টার প্রযুক্তির কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার আপডেট করা হয়েছে। ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড ব্যবস্থাপনা একটি পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে। গ্রাহকদের জন্য আমরা ‘ভার্চুয়াল কার্ড’ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। ঢাকা ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার এ প্রয়াসগুলো আমার জন্য তৃপ্তিদায়ক।

অতৃপ্তির কথা যদি বলি, তাহলে প্রথমেই আসবে খেলাপি ঋণ। পুরো ইন্ডাস্ট্রির ধারাবাহিকতায় ঢাকা ব্যাংকেও খেলাপি ঋণের আঘাত লেগেছে। ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ যতটা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা ছিল, ঠিক ততটা কমাতে পারিনি। তবে আশার কথা হচ্ছে, গত তিন বছরে বিতরণ করা ঋণ খেলাপি হয়নি। অতীতের খেলাপি ঋণের ভার আমাদের টানতে হচ্ছে। খেলাপি ঋণের বিপরীতে আমরা পর্যাপ্ত প্রভিশন সংরক্ষণ করেছি। এছাড়া ব্যাংকের মুনাফা আরো বাড়ানো, জনবলের জন্য কাঙ্ক্ষিত মানের প্রশিক্ষণ, মানব সম্পদ উন্নয়নের বিষয়ে কিছুটা অতৃপ্তি রয়ে গেছে।

প্রশ্ন: কর্মকাণ্ড দেখে বলা যায়, জন্মলগ্ন থেকেই ঢাকা ব্যাংক করপোরেট ব্যাংকিং করেছে। এক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: শুরু থেকেই ঢাকা ব্যাংক করপোরেট ব্যাংকিংকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে আমরা ঋণ বিতরণে বিকেন্দ্রীকরণ শুরু করেছি। এ সময় আমরা এসএমই ও ভোক্তা ঋণে গুরুত্ব বাড়িয়েছি। ‘শক্তি’ নামে আমরা একটি এসএমই প্রডাক্ট চালু করেছি। ক্লাস্টারভিত্তিক এসএমই ঋণ বিতরণকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যাশাও ক্লাস্টারভিত্তিক ঋণ প্রদান। কখনই ব্যাংকে যায়নি, এমন উদ্যোক্তাকেও আমরা ঢাকা ব্যাংকের গ্রাহক বানিয়েছি। অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় নতুন গ্রাহক তৈরির ক্ষেত্রে ঢাকা ব্যাংকের ভূমিকা অগ্রগণ্য। এসএমই ঋণের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ ৪০ ঘণ্টার মধ্যে অনুমোদন দেয়ার চেষ্টা করছি। এছাড়া ভোক্তাঋণ বিতরণ প্রক্রিয়াটি আমরা পুরোপুরি অটোমেটেড করে ফেলেছি। যে কেউ অফিসে বসেই ঋণের জন্য অনলাইনে আবেদন জানাতে পারছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ঋণটি অনুমোদন যোগ্য হলে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলছি। অনুমোদন অযোগ্য হলে সেটি গ্রাহককে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকরা অর্থ, সময় ও শ্রম নষ্ট না করেই ঋণ পাবেন কিনা, তা জেনে যাচ্ছেন। সুতরাং এটি বলা যায়, ঢাকা ব্যাংক এখন এসএমই ও ভোক্তাঋণেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

প্রশ্ন: আগামী ১০ বছরে ঢাকা ব্যাংককে কোথায় দেখতে চান?

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: ১০ বছর পর গ্রাহকরা সেবার জন্য আর ব্যাংকে আসতে চাইবে না। সে সময় ঢাকা ব্যাংক যাতে গ্রাহকদের ২৪ ঘণ্টার ব্যাংকিং সেবা দিতে পারে, সে জায়গায় দেখতে চাই। সেবার দিক থেকে গ্রাহকরা যদি বাজারে কোনো সেরা ব্যাংকের কথা চিন্তা করে, তাহলে প্রথমেই যেন ঢাকা ব্যাংকের কথা মাথায় আসে, সে ব্যবস্থা করে যেতে চাই। গ্রাহকরাই হলো ব্যাংকের মুখপাত্র। তাদের মুখেই ঢাকা ব্যাংকের সুনাম শুনতে চাই।

প্রশ্ন: চলতি বছরের শুরু থেকে এবিবির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। এ দায়িত্ব কীভাবে সামলাচ্ছেন?

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: এবিবির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেয়ার সময় থেকেই দেশের ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের সংকট চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এডি রেশিও (ঋণ ও আমানতের অনুপাত) কমিয়ে দিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। আমানতের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো ঋণের সুদহার বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। এরপর বিএবির পক্ষ থেকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর জন্য ঋণের ক্ষেত্রে ৯ ও আমানতের ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এ ইস্যুগুলো নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি।

প্রশ্ন: এবিবি আসলে কী ধরনের সংগঠন? এ সংগঠন ব্যাংকারদের স্বার্থে কথা বলছে, নাকি বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করছে?

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: এবিবি হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি প্রটেকশনের জন্য। তবে দেশের ব্যাংকিং খাতের ওপর এবিবির কোনো কর্তৃত্ব বা নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতা নেই। এটি সব সময় খাতসংশ্লিষ্ট বিষয়ে অ্যাডভোকেসি করে থাকে। আমরা কোনো ব্যাংককে আদেশ কিংবা নির্দেশ দিতে পারি না। এবিবি ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখছে।

প্রশ্ন: ব্যাংকিং খাতে সুশাসন রক্ষায় এবিবির কোনো বক্তব্য আছে কি?

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: বাংলাদেশ ব্যাংক এডি রেশিওর বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দেয়ার পর আমরা কথা বলেছি। ক্রেডিট কার্ডে সুদহার কমিয়ে দেয়ার পর আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসেছি। বিল ফর কালেকশন, কাউন্টার গ্যারান্টির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব প্রভিশন নিয়ে এসেছিল, সেগুলো বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। অডিট কমিটির বিষয়ে জারিকৃত নীতিমালা নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসেছি। বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবিবি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ব্যাংকিং খাতের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এবিবি ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ ব্যাংক তো বলেছে, বেসরকারি ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবেই এডি রেশিও কমানো হয়েছে। তাহলে আপনারা বিরোধিতা করলেন কেন?

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: আমরা এডি রেশিও সমন্বয় করার জন্য সময় বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছিলাম। নতুন এডি রেশিওর বিরোধিতা করিনি। এডি রেশিও সমন্বয় করতে গিয়ে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করার জন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছিল।

সৌজন্যে: দৈনিক বণিক বার্তা

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

কর্পোরেট ডেস্ক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পরিষদের এক সভা রবিবার (৬ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ...

দুদকের সাবেক অ্যাম্বাসেডর থেকে আসামিও হতে পারেন সাকিব

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও দুদকের সাবেক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির...

সূচকের সাথে বেড়েছে লেনদেনও

পুঁজিবাজার ডেস্ক: ঈদ পরবর্তী প্রথম কার্যদিবস রোববার (৬ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের মিশ্রাবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।...

ইউনিয়ন ব্যাংকের গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনে বদ্ধপরিকর

কর্পোরেট ডেস্ক: শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. শরীয়াহ্ নীতিমালা অনুস্মরণ, আধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তি এবং উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদানের মাধ্যমে সবসময় গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনের সর্বোচ্চ...

কুয়াকাটা সৈকত দখল করে নির্মাণ হচ্ছে ঝুকিপূর্ণ মার্কেট

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দখল করে চলছে অবৈধভাবে ঝুকিপূর্ণ মার্কেট নির্মানের কাজ। শুধু দখল নয় টিন আর কাঠের মাচার উপরে ইট...

এপ্রিলে অপরিবর্তিত থাকছে এলপি গ্যাসের দাম

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : ভোক্তা পর্যায়ে এপ্রিল মাসের জন্য এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। এপ্রিল মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার...

মেঘনা ইন্সুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজার ডেস্ক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২০ এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।...

মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ, যুবদলের দুই নেতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে এজাহারভুক্ত আসামীকে ছাড়িয়ে নিতে এসে পুলিশ সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি ও গালিগালাজের অভিযোগে দুই যুবদল নেতাকে...