নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় ঢাকার মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি নয়। এটা কলকাতার মেট্রো না, এটা অনেক আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়া অনেকেই বেশি বলছেন কিন্তু আমি মনে করি মোটেও সমস্যা হবে না। রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা। তাহলে সমস্যা কি?
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “ঢাকার মেট্রোরেল আর অন্যান্য দেশের মেট্রোরেল এক নয়। মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের চেয়ে ভাড়া বেশি না। সময়ও অনেক বাঁচবে। মতিঝিল থেকে ৩৮ মিনিটে উত্তরা যেতে পারবে। ঢাকার যে অবস্থা সেখানে মাত্র ৩৮ মিনিটে এতোটা পথ চলে যাবে।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, “টেকনোলজির দিক থেকে অনেক উন্নত আমাদের মেট্রোরেল। মেট্রোরেলে শব্দদূষণ হতে পারে- এমন আশঙ্কায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনও করেছে। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, আমিও কথা বলেছি। তাদের জানিয়েছি, আমাদের মেট্রোরেলে কোনো নয়েজ হবে না। উন্নত প্রযুক্তির কারণে শব্দও হবে না, শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না।”
তিনি বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় আরও ৬টি মেট্রোরেলের লাইন প্রতিষ্ঠার সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। একইসঙ্গে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা চট্টগ্রামে আরও দুটি সার্ভিস লেন হবে। চলমান সংকটকালে আমরা বড় প্রকল্পের কাজ হাতে নিতে পারবো না। মেট্রোরেলের প্রকল্প ছিল অনেক আগের নেওয়া। আগামী বছর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অর্ধেকটা ওপেন করতে পারবো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল করা যায় কি না- সেটির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করে দেখা হবে। আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আগামী বছরের মধ্যে চালু করা হবে।
বিএনপির গণমিছিল নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণমিছিলের নামে সহিংসতা করবে। আমরা কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো? আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো। বিএনপি’র পূর্বঘোষিত ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিলের দিন আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে। ১০ তারিখের মতো আমরা সারাদেশে সতর্ক পাহারায় থাকবো। ওইদিন যেমন ছিলাম একই অবস্থানে থাকবো।