আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাপানের হামামাতসুর এনসু সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে গোলাকৃতির একটি রহস্যজনক বস্তু। বস্তুটি প্রাই ১.৫ মিটার ব্যাসের গোলাকৃতি। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জাপানি কর্মকর্তারাও জানেন না এটি আসলে কী। তারা শুধু জানেন, গোলাকৃতির বস্তুটি কোনো বিস্ফোরক নয়।
সংবাদমাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, গোলাকৃতির বস্তুটি সৈকতে ভেসে আসার পর থেকেই এ নিয়ে কৌতুহল চলছে। প্রথমে শঙ্কা করা হয়েছিল, এটি একটি মাইন। কিন্তু শঙ্কা দূর করতে এক্সরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটির ভেতরটি দেখা হয়। এরপর নিশ্চিত হওয়া যায় বস্তুটির ভেতরটি ফাঁপা।
এটি চীন বা উত্তর কোরিয়ার নজরদারি চালানোর কোনো যন্ত্র— এমন ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি।
জাপানের সংবাদমাধ্যম আসাহি টিভি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সৈকতে হাঁটতে গিয় গোলাকৃতির বস্তুটি দেখতে পান এক নারী। এরপর তিনি পুলিশকে বিষয়টি সস্পর্কে অবহিত করেন। বর্তমানে কমলা-বাদামী রঙের অদ্ভুত গোলাকৃতির বলটি নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
নিরাপত্তার স্বার্থে ওই জায়গায় সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর খবর দেওয়া হয় বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদের। তারা এসে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। কিন্তু তারা এখনো খুঁজে বের করতে পারেননি এটি আসলে কী বা কোথা থেকে ভেসে সৈকতে এলো এটি।
আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বস্তুটির ছবি তুলে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও কোস্টগার্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তবে ওই এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে বলেছেন তিনি বুঝতে পারছেন না হঠাৎ করে কেনো পুলিশ এ বস্তু নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠেছে। কারণ বস্তুটি ওই স্থানে গত এক মাস ধরেই রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি এটি বেশ কয়েকবার ঠেলে সরানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তা সরেনি।
অজানা এ বলটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়েছেন। কেউ বলছেন, এটি আকাশ থেকে পড়া কোনো ইউএফও। কেউ বলছেন, এটি জনপ্রিয় মাঙ্গা সিরিজের ড্রাগন বল। আবার কেউ কেউ কেউ বলছেন, এটি চীনের কোনো নজরদারি যন্ত্র।সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান