নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস, দারাজ বাংলাদেশ, সম্প্রতি হাসিমুখ সমাজ কল্যান সংস্থার সহযোগিতায় ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশনের আয়োজন করেছে। এই সেশনটি দারাজের রাইডার গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের একটি অংশ, যেখানে রাইডারদের এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে কম্পিউটার দক্ষতার পাশাপাশি বিভিন্ন আচরণগত ও পারিপার্শ্বিক শিক্ষা প্রদান করা হয়।
সেশনটি পরিচালনা করেন হাসিমুখ সমাজ কল্যান সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নুসরাত আক্তার এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশনস মোঃ আব্দুল কাইয়ুম।
এ প্রসঙ্গে দারাজ বাংলাদেশের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, “বর্তমান বিশ্বে ই-কমার্স হচ্ছে ভবিষ্যৎ উপযোগী ব্যবসা মাধ্যম। এখানে ডেলিভারি হচ্ছে অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। আমাদের যেসব রাইডাররা আছেন তাদের জন্য প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন রকম ট্রেইনিং এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এর আয়োজন করে থাকি। সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি যেমন আমাদের প্রধান উদ্দ্যেশ্য তেমনি এই রাইডারদের বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তাদের প্রয়োজনীয় বিষয় সমূহে প্রশিক্ষণ প্রদানেও আমরা কাজ করে থাকি। রাইডার গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রাম হচ্ছে আমাদের ডেলিভারিম্যানদের কম্পিউটার এবং আচরণগত দক্ষতা আরও উন্নত করার আরেকটি প্রচেষ্টা। বিভিন্ন কম্পিউটার দক্ষতা ছাড়াও আমরা রাইডারদের যে কোন পণ্য সরবরাহ করার সময় তাদের কিভাবে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজটি করতে হবে, কাস্টমারদের সাথে তাদের আচরণ কেমন হবে এইসব বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করছি। ডিজিটাল লিটারেসির এই যুগে তথ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা একটি অত্যন্ত জটিল এবং অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। এর জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে সচেতনতা। আমাদের এটি সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা কোনভাবেই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য অপরিচিত কারও সাথে শেয়ার না করি।
এই প্রোগ্রামে রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিগত তথ্য অথবা কাস্টমারের ব্যবহৃত কোন ডিভাইস না চাওয়ারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই ধরণের কার্যক্রম আমরা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করি। যদি এরূপ কোন তথ্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় তাহলে সেই রাইডারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আমরা যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আমি আমাদের সম্মানিত কাস্টমারদের বলব আসুন আমরা একটি সুন্দর ই-কমার্স ইকোসিস্টেম তৈরি করতে একযোগে কাজ করি।”
দারাজ:
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত দারাজ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। দারাজ বিশ্ব মানসম্পন্ন মার্কেটপ্লেস প্রযুক্তির মাধ্যমে ১ লাখের বেশি সেলারের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি, সেলারদের এ অঞ্চলের দ্রুত বর্ধনশীল ৫০ কোটি গ্রাহকের সাথে যুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে দারাজ। দারাজ এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি বাজারের সবচেয়ে কার্যকরী ও ডিজিটালাইজড লজিকটিকস অবকাঠামো পরিচালনা করছে। দারাজের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার ৫ কোটি ক্রেতা ও ব্যবসাকে সেবা প্রদান করা।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- www.daraz.com