কর্পোরেট ডেস্ক : করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সরকার এবং বেসরকারি খাত বিদেশি ঋণ পরিশোধে অমনোযোগী হয়ে পড়ে। তাই অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ। সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে সরকারের বিদেশি ঋণ বেড়ে দাড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৪৯ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে মোট বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিলো ৯ হাজার ৭৯ কোটি ডলার। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে এই ঋণের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার বেড়ে ৯ হাজার ৩৭৯ কোটি ডলারে দাড়িয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নেওয়া ঋণ ৬ হাজার ৯৪৯ কোটি ডলার। আর বাকি ২ হাজার ৪৩১ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে বেসরকারি খাত।
এক্ষেত্রে বেশির ভাগই সরকারের নেওয়া ঋণ, যা শতকরা হিসাবে ৭৪ শতাংশ। আর এসময়ে বেসরকারি খাত ঋণ নিয়েছে ২৬ শতাংশ। বিপুল পরিমাণ বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে সরকারি ও বেসরকারি খাতে চাপ তৈরি করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ২০১৬ সাল শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৬.৭০ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৬৭০ কোটি ডলার। এরপরে গত বছরের জুন শেষে মোট বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। ঋণের এই বোঝা গত ডিসেম্বর শেষে ৯ হাজার ৩৭৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ঋণের বেশিরভাগই বায়ার্স ক্রেডিট। বায়ার্স ক্রেডিট হচ্ছে দেশের আমদানিকারকের বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় নেয়া ঋণ। বায়ার্স ক্রেডিটের ঋণ সাধারণত এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল শেষে বায়ার্স ক্রেডিট দাড়িয়েছে ৯৫৬ কোটি ডলার। এর আগে ২০২১ সালের জুনে যার পরিমাণ ছিলো ৫৬৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে বায়ার্স ক্রেডিট বা সরবরাহকারী ঋণ বেড়েছে ৩৯৩ কোটি ডলার।