নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্টায়াত্ত্ব পাওয়ার গ্রীড কোম্পানির বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে পাওনা ৪৮৪ কোটি টাকা আদায় নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক। কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে নিরীক্ষক এই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে পাওয়ার গ্রীডের পাওনা রয়েছে ৯৬৪.২০ কোটি টাকা। এরমধ্যে বিপিডিবির কাছে ৫১৬.২০ কোটি টাকা, ডিপিডিসির কাছে ১৪৬.০৫ কোটি টাকা, ডেসকোর কাছে ৩৬.২৯ কোটি টাকা, পিবিএসের কাছে ২২১.৯৬ কোটি টাকা, ডব্লিউজেডপিডিসিএলের কাছে ২১.৫০ কোটি টাকা, নেসকোর কাছে ১২.৪২ কোটি টাকা ও ওপিজিডব্লিউ এর কাছে ০.৪০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এসব গ্রাহকের কাছে পাওনা টাকার পরিমাণ বছরের পর বছর বাড়ছে।
ওই গ্রাহকদের কাছে পাওনা টাকার মধ্যে ৪৮৩.৭২ কোটি টাকা আদায় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে বিপিডিবির কাছে ৩৮৮.৫৪ কোটি টাকা, ডিপিডিসির কাছে ৯০.৭৮ কোটি টাকা, পিবিএসের কাছে ৪.৩৬ কোটি টাকা ও ডব্লিউজেডপিডিসিএলের কাছে ০.০৪ কোটি টাকা টাকা পাওনা রয়েছে। এসব পাওনার পুরোটা আদায়ের সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করছে নিরীক্ষক।
পাওয়ার গ্রীড কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ১ হাজার ৩৯১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার জমিবাবাদ সম্পদ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। এরমধ্যে সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে ১০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার জমি বেড়েছে। কিন্তু বর্ধিত ওই জমির বিষয়ে কোম্পনি কর্তৃপক্ষ সঠিক কোন প্রমাণাদি (প্রকৃত দলিলনামা, বিএস, আরএস, সিএস মিউটেশন, মৌজা ম্যাপ ইত্যাদি) দেয়নি। যাতে করে ওই জমির প্রকৃত মালিক কে, তা নিশ্চিত হতে পারেনি নিরীক্ষক।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে ২০০৬ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া পাওয়ার গ্রীডের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদদের মালিকানা ২৫ শতাংশ।