স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই কানাডার বিপক্ষে হেসে খেলে ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নিলো স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এদিন ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন আন্দ্রেস গুস ও অ্যারন জোনস। গুস আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চত করে মাঠ ছাড়েন জোনস। এদিন টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ডও গড়ে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে সর্বোচ্চ ১৬৯ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল তাদের।
কানাডার দেয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের শুরুতেই হোঁচট খায় যুক্তরাষ্ট্র। রানের খাতা খোলার আগেই আঘাত হানেন কলিম সানা। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই স্টিভেন টেইলরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে (এলবিডব্লিউ) ফেলেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন আন্দ্রেস গাউস। তার সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়েন মোনাঙ্ক। ভয় ধরানো এই জুটি ভাঙেন দিলন হেলিগার। ইনিংসের সপ্তম ওভারে মোনাঙ্ককে সাজঘরের পথ দেখান হেলিগার। আউট হওয়ার আগে ১৬ রান করেন তিনি।
পরে বাইশ গজে আসেন অ্যারন জনস। ঝোড়ো ব্যাটিং করে ২২ বলে ফিফটি করেন তিনি। তার সঙ্গে অর্ধশতক করেছেন গাউসও। গাউস ৪৬ বলে ৬৫ করে আউট হলেও অনবদ্য ছিলেন জনস। তিনি খেলেন ৪০ বলে ৯৪ রানের এক অপরাজিত ইনিংস। যার সুবাদে ১৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে, রোববার (২ জুন) নিউইয়র্কের ডালাসে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।টস জিতে কানাডাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নাভনিত ঢালিওয়াল। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৩ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ওপেনার। ১৬ বলে ২৩ রান করে জনসন আউট হলেও মারমুখী ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন নাভনিত।
এছাড়াও ফিফটির দেখা পান নিকোলাস ক্রিস্টন। এই দুই ব্যাটারের ফিফিটিতে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে কানাডা। নাভনিত ৪৪ বলে ৬১ ও ক্রিস্টন ৩১ বলে ৫১ রান করেন। এছাড়া ১৬ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন শ্রেয়াস।
প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা কানাডা প্রথম ম্যাচেই ভেঙে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডের রেকর্ড। তাদের তোলা ১৯৪ রান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ২০১৪ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের ৪ উইকেট ১৯৩ রান। তবে শেষ পর্যন্ত কানাডার রেকর্ডও ভেঙে দিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।