স্পোর্টস ডেস্ক : এমবাপ্পে পিএসজির হয়ে গত সাত মৌসুমে যা করেছেন, ক্লাবটির ইতিহাসে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ক্লাবটির জার্সিতে ৩০৯ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। গোল করেছেন ২৬০টি, অ্যাসিস্ট ৮৫টি। ছয়টি লিগ শিরোপার পাশাপাশি তিনটি কোপা দে ফ্রান্সের শিরোপা জিতিয়েছেন ফরাসি জায়ান্টদের।
পারেননি এক জায়গায়। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। যে শিরোপার জন্য চাতকের মতো অপেক্ষায় ছিল ক্লাব সমর্থকরা। কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করতে দুবার ভাবেননি ক্লাব সভাপতি নাসের আল খেলাইফি। শুধু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলতে নিয়ে আসেন মেসি, নেইমার, ডি মারিয়াদের। তারার হাট বসিয়েও পিএসজি পারেনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে।
এমবাপ্পের সময়ে পিএসজি তিনবার সেমি-ফাইনাল খেলেছে, একবার উঠেছিল ফাইনালেও। সন্তুষ্ট থাকতে হয় রানার্স-আপ হয়ে। এমবাপ্পে চেষ্টায় ত্রুটি রাখেননি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৭৩ ম্যাচে ৪৮ গোল করা এমবাপ্পে এবার মরিয়া ছিলেন শিরোপা জেতাতে।
প্রেমের নগরী প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের সামনে শিরোপা নিয়ে উদযাপন হবে, এমন স্বপ্নেই হয়তো বিভোর ছিলেন এমবাপ্পে। স্বপ্ন আপাতত ধরা দেয়নি বাস্তবে। সেমিফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ২-০ গোলের হারে বিদায় নিতে হয়েছে আসর থেকে। এতে, আরও একটি শেষের ঘণ্টা বোধকরি বেজে গেল। মৌসুম শেষে যদি পিএসজি ছাড়েন ফরাসি তারকা, তাহলে এটিই হয়ে রবে পার্ক দে প্রিসেন্সে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় পিএসজির জার্সিতে এমবাপ্পের শেষ ম্যাচ।
পিএসজির হয়ে এমবাপের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতার স্বপ্নটাও মুছে দিল জার্মান ক্লাবটি। ১১ বছর আবারও ফাইনাল খেলবে ডর্টমুন্ড।
প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে তারা প্রভাব বিস্তার করলেও গতরাতে নিজেদের মাঠে শুরুতে দাপট দেখাচ্ছিল পিএসজিই। ঘরের মাঠে চেষ্টার কমতি ছিল না তাদের। বলের দখল কিংবা গোলের উদ্দেশ্যে শট, সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল তারা। তবে ভাগ্য যেন সহায় হলো না। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো সেমিতে খেলল পিএসজি, যার মধ্যে তিনবারই সেমির মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছে ফ্রেঞ্চরা।
ঘরের মাঠে দলের জয়ের রাতে একমাত্র গোলটি এসেছে ম্যাটস হুমেলসের হেড থেকে। সেমির দুই লেগেই তার পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত, হয়েছেন প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচও। ৩৫ বছর বয়সী এই জার্মান ডিফেন্ডার রক্ষণভাগের সঙ্গে আক্রমণের পালন করে চলছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের ফাইনালে ডর্টমুন্ডের প্রতিপক্ষ কে হবে তা জানা যাবে আজ রাতে। ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথম লেগে বায়ার্নের মাঠে ২-২ গোলের সমতায় শেষ হয়েছিল ম্যাচ। এতে আজ ফিরতি লেগে যে দল গোল ব্যবধান এগিয়ে রাখতে পারবে তারাই যাবে ওয়েম্বলিতে।