কবিতা ১
কষ্টগুলো খুব দুষ্টু হয়েছে
কষ্টগুলো আমার খুব দুষ্টু হয়েছে
ঘুরে বেড়াচ্ছে এখানে সেখানে।
কখনও তুলোমেঘ হয়ে ডানা মেলে,
বৃষ্টি কণা ঝিরিঝিরি হয়ে হাত ভেজায়।
কখনওবা সেই শিউলি তলায়
জোড়া রাজহংসের সাথে লুকোচুরি।
আবার ছুটে দ্বাদশীর চাঁদকে সাক্ষী রেখে
যৌনতার আলিঙ্গনে সুখে আত্মহারা হতে।
কখনও উত্তাল সাগরে বাউন্ডুলেপনা
চোখ ইশারা,খুনসুটি।
কখনওবা ক্ষ্যাপা স্প্রীটবোটের মাঝির
চোখ ফাঁকি দিয়ে টুক করে চুমু খাওয়া।
আমার কষ্টগুলো খুব দুষ্টু হয়ে উঠেছে।
তোমার কাছে সালিশী দিলাম
কষ্টগুলোকে শাসন করো।
কবিতা ২
করুনা করোনা, ফিরে যাও
আমি কবি নই,আমার আশ্রয়দাতা কবি
তিনি হৃদয়ের সব অনুরাগ দিয়ে
মাথা দিয়ে, মেধা দিয়ে
প্রেমিক যুগলের অমর কীর্তির গাঁথা
লিখেছেন অমর ভাষায়।
আমি কবি নই,আমায় প্রেমদাতা কবি
অনেক যত্নে গড়েছেন, গেঁথেছেন
আবার ভেঙেছেন
স্বর্ণমুদ্রার রসালো ভারে,
আমার হৃদয় তাঁর চেয়ে ভারী হয়ে আছে
দুঃখে, বেদনায়,অভিমানে,অপমানে-
প্রেমের মৃত্যুতে।
তোমরা ফিরে যাও
তোমাদের চায়না আমার প্রেম,
এই কবিতার মঞ্চ চায়না তোমাকে,
উন্মুখ তরুণ কবি শুনবেনা সুরেলা কন্ঠ,
লজ্জাবতী ছায়াকে ঢাকে ওড়নায়।
অভিমানি মুখটা হাসি লুকাবে
চোখের জল ঝর্ণার আগে ঝরবে।
করুনা করোনা।
ফিরে যাও।
কবিতা ৩
কথিত জীবনের সমাপ্তি
মৃত্যুকে প্রতিদিন এতো কাছ থেকে দেখা হয়
মৃত্যু নামের কোন আতঙ্ক আমার পড়শি হবেনা
মৃত্যুকে আমি ডান থেকে দেখি
বাম থেকে দেখি,
সর্বোপরি চতুর্দিক থেকে দেখি।
জীবনের রুটিনে দেখছি প্রতিখনে
কত রূপে মৃত্যু আসছে আমাদের কাছে।
আসুক ,হারবোনা তার কাছে
মুত্যুকে পাশে বসিয়ে আমি সমুদ্রস্নানে যাবো
মুত্যুকে দাড় করিয়ে রেখে পাহাড় চুড়ার উঠোনে একটু জিরিয়ে নিবো।
তারপর হাসি মুখে বরণ করবো
মৃত্যু নামের কথিত জীবনের সমাপ্তিকে।