স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসির বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ট্রফির বন্যা বয়েছে। কী নেই আর্জেন্টাইন রাজপুত্রের ঝুলিতে। এমনকী সম্প্রতি বহু কাঙ্খিত বিশ্বকাপও জেতা হয়ে গিয়েছে তাঁর। তবে সাতবারে ব্যালন ডি’অর জয়ী সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার আজও জেতেননি অত্যন্ত সম্মানীয় গোল্ডেন ফুট ট্রফি। তবে যা আছে পর্তুগিজ জাদুকর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ঝুলিতে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ‘সোনার পা’ নেই লিওর।
মেসির গর্ব করতে পারেন ১০টি লা লিগা, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা আমেরিকা এমনকী অলিম্পিক্স সোনা নিয়েও। দেখতে গেলে এমন কোনও ট্রফিই নেই যা তাঁর পাওয়া হয়নি, শুধু এই গোল্ডেন ফুট বাদে। বছরের সেরা ফুটবলারকে তাঁর নিজের পায়ের ছাপ সোনায় বাঁধিয়ে দেওয়া হয় ফ্রেম করে। ‘দ্য চ্যাম্পিয়ন্স প্রোমেনাদ’ মোনাকোর সমুদ্রের তীরে স্থান পেয়েছে। এই পুরস্কার একজন ফুটবলার তাঁর জীবনে একবারই পেতে পারেন। অবশ্যই তাঁর বয়স হতে হবে ২৮ বছরের ওপর। আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের ভোটেই বেছে নেওয়া হয় বিজয়ীকে। তবে মেসির নাম এত বছরে একবারও আলোচনায় আসেনি। ২০২০ সালে সিআর সেভেন এই পুরস্কার পেয়েছেন। চলতি বছর রবার্ট লেওয়ানডস্কির হাতে তুলে দেওয়া হয় গোল্ডেন ফুট। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বুন্দেসলিগা জিতেই এই মৌসুমে পোলিশ গোলমেশিন চলে আসেন বার্সেলোনায়। ১৯ ম্য়াচে ১৮ গোল করে এই অনন্য সম্মান পেয়েছেন তিনি। ২০০৩ সালে রর্বাতো বাজ্জিও প্রথম এই পুরস্কার জিতেছিলেন।
পায়ের ছাপের প্রসঙ্গে বলতে হয় মেসির কৃতিত্বের কথা। তিনদিন আগেই এসে গিয়েছিল এই খবর। খোদ ব্রাজিল চেয়েছে আর্জেন্টিনার ভূমিপুত্রের পায়ের ছাপ। মারাকানার হল অফ ফেমে থাকুক লিওর ফুটপ্রিন্ট। এই মর্মেই বিশ্বজয়ী ক্যাপ্টেন আর্জেন্টিনার কাছে চলে এসেছে পেলের দেশের বিশেষ আমন্ত্রণ। আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি পাঠিয়েছে রিও ডি জেনেইরো স্টেট স্পোর্টস সুপারিনটেনডেন্স। তারাই আইকনিক মারাকান স্টেডিয়াম দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে। সংস্থার প্রেসিডেন্ট আদ্রিয়ানো স্যান্টোস নিজে চিঠি লিখেছেন মেসিকে। সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘মেসি ইতিমধ্যে মাঠ এবং মাঠের বাইরে নিজের ছাপ রেখেছে। ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বছরের পর বছর মেসির নাম থাকবে।
কাতারে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই, একটা কথা বারবার সকলে বলছিলেন, মেসির হাতে কাপ না উঠলে সম্ভবত ‘পোয়েটিক জাস্টিস’ হবে না। আর ফুটবল বিধাতা সেটাই করলেন। মেসির মাথায় রাজমুকুট পরিয়ে দিয়েগো মারাদোনার আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করলেন। গত রবিবার লুসেল স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের ফয়সলা হয়েছিল পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সেখানে আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসে। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনা ফের বিশ্বকাপ জেতে। তাদের জার্সিতে এবার থেকে দুইয়ের বদলে থাকবে তিনটি তারা। সূত্র-জিনিউজ।