বিনোদন ডেস্ক: নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো হলিউডের কিংবদন্তী পরিচালক-অভিনেতা রব রাইনা ও তার স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রাইনার মরদেহ।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রেন্টউডে অবস্থিত রব-মিশেলের বাড়ি থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত দম্পতির একাধিক ঘনিষ্ঠজনের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম পিপল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে কিংবদন্তী পরিচালক রব রাইনা (৭৮) ও তার স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রাইনাকে (৬৮) হত্যা করেছে তাদেরই পুত্র নিক (৩২)।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই মাদকে আসক্ত নিক। যদিও তার খুন করার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকাল আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার ডিপার্টমেন্টকে একটি বাড়িতে চিকিৎসা সহায়তার জন্য ডাকা হয়। তারা সেখানে পৌঁছে রব ও মিশেলকে মৃত অবস্থায় পায়।
পুলিশ জানিয়েছে, রব-মিশেল দম্পতির ৩২ বছর বয়সি পুত্র নিক জীবিত আছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
‘হোয়েন হ্যারি মেট স্যালি’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়ে মিশেলকে হবু স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন অভিনেতা-নির্মাতা রব। ১৯৮৯ সালে বিয়ে করেন তারা। এ দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। তারা হলেন জ্যাক (পুত্র), নিক (পুত্র) ও রোমি (কন্যা)।
Reneta
ষাটের দশকে অভিনেতা হিসেবে রুপালি জগতে ক্যারিয়ার শুরু করেন রব। তিনি হলিউডের একজন কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ‘স্লিপলেস ইন সিয়াটেল’ এবং ‘দ্য উলফ অফ ওয়াল স্ট্রিট’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
পাশাপাশি, তিনি ‘দিস ইজ স্পাইনাল ট্যাপ’, ‘দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড’, ‘হোয়েন হ্যারি মেট স্যালি’ এবং ‘এ ফিউ গুড মেন’-এর মতো কালজয়ী সিনেমাগুলো পরিচালনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে পরিচালনায় নাম লেখান রব রাইনা। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দিস ইজ স্পাইনাল ট্যাপ’। এটি ১৯৮৪ সালে মুক্তি পায়। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো স্ট্যান্ড বাই মি (১৯৮৬), দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড (১৯৮৭), হোয়েন হ্যারি মেট স্যালি (১৯৮৯), আ ফিউ গুড মেন (১৯৯২) প্রভৃতি। সূত্র-পিপল ডটকম।
আরও পড়ুন:


