কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেয়া হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপর্যায়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে ফোনে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১:২০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স অবতরণ করে। দুপুর দেড়টায় তাকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার কথা রয়েছে।
ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। তিনি এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। ব্রেন স্টেমে আঘাত এবং মস্তিষ্কের অতিরিক্ত ফুলে যাওয়ার কারণে রক্তচাপের ওঠানামা এবং হার্টবিট বাড়ছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তবে নতুন করে আজ পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মেডিকেল টিম কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। রক্তচাপ এবং হৃদযন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা চলছে।
রোববার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের এসব তথ্য জানান। একইদিন রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, পরদিন দুপুরে ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল জাবের হুশিয়ারি দেন, যদি সোমবারের মধ্যে ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী গ্রেফতার না হয়, তাহলে স্বরাষ্ট্র ও আইন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি তোলা হবে। পাশাপাশি একই দিনে বিকেলে জাতীয় শহিদ মিনারে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশের আয়োজন করার ঘোষণা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে রিকশায় চলন্ত অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদিকে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত গুলি করে পালিয়ে যায়। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয় এবং সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন:


