সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের ৬টি আসনে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাসদসহ বিভিন্ন দলের মনোনীত প্রার্থীরা সভা–সমাবেশ, গণসংযোগ, পোস্টার–ব্যানার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর এই ছয়টি আসন বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও এবার দলটি নির্বাচনে না থাকায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে স্থানীয়দের ধারণা। আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংকের অংশ কোন দিকে যাবে, সেটিই ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
সিরাজগঞ্জ-১ (সদর ও কাজিপুর) আসনে বিএনপির সেলিম রেজা, জামায়াতের জেলা আমীর শাহীনুর আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ আবু জাফর ও বাসদের আবু সামা সরকার প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। এ আসনে ভোটকেন্দ্র ১৬৫টি, মোট ভোটার ৩ লাখ ৮২ হাজার।
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনকে জেলার রাজনীতির কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জামায়াতের অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি মহিব্বুল্লাহ এবং বাসদের আবদুল্লাহ আল মামুন প্রার্থী হয়েছেন। এখানে ভোটকেন্দ্র ১৬২টি, ভোটার ৪ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি।
সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ ও তাড়াশ) আসনে বিএনপির আইনুল হক, জামায়াতের ড. মোহাম্মদ আবদুস সামাদ, ইসলামী আন্দোলনের গাজী আইনুল হক ও বাসদের পলাশ কুমার ঘোষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংখ্যালঘু ভোটাররা ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ আসনে ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার।
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে বিএনপির এম আকবর আলী ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের লড়াইকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলও প্রকাশ্যে এসেছে। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৯০।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসনে বিএনপির আমিরুল ইসলাম খান আলীম, জামায়াতের অধ্যক্ষ আলী আলম এবং ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ মুফতি শেখ নূরুন্নাবী মাঠে আছেন। এ এলাকায় বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলেরই শক্ত অবস্থান বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। মোট ভোটার ৪ লাখ ২২ হাজার।
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে বিএনপির চিকিৎসক এম এ মুহিত, জামায়াতের অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের মেসবাহ উদ্দিন ও বাসদের আনোয়ার হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসন ঐতিহাসিকভাবে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ আসনে ভোটার ৪ লাখ ৮১ হাজারের বেশি।
সব আসনেই প্রার্থীরা নিজেদের জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দল নিরপেক্ষ ভোটার ও পূর্বের ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের অবস্থানই শেষ পর্যন্ত ফলাফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন:
প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো এনসিপি
সেনাবাহিনীর সঙ্গে জিয়া পরিবারের সম্পর্ক আত্মিক: তারেক রহমান


